ডুমুরিয়া(খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও ইদুরের অত্যাচারে কৃষকের হাসি হারিয়ে যেতে বসেছে। বিষটোপ, জাতিকলসহ বিভিন্ন কীট-নাশক প্রয়োগ করেও কোন উপকার হচ্ছে না।
দেখা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের ক্ষেতে ইদুরের উপদ্রব সীমাহীন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিরাতেই ইদুরেরা দল বেধে ক্ষেতের ধান কেটে একেবারেই সাবাড় করে ফেলছে। কৃষকেরা ইদুর নিধনের শত চেষ্টা করেও কোন কিনারা পাচ্ছেন না।
উপজেলার শোভনা, গোপালনগর, শিবপুর, বলাবুনিয়া, কাকমারি, জিয়ালতলা, সাহস, নোয়াকাঠি, শরাফপুর, উলা, শিবনগর, কুলটি, ভান্ডারপাড়া, বান্দা, তেতুলতলা, পেড়িখালি, কাপালিডাঙ্গা, খড়িয়া, রুদাঘরা, মাগুরখালি, কুলবাড়িয়া, নরনিয়া, আটলিয়াসহ প্রায় সকল বিলের কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর আমন ধানের আশাতীত ফলন হয়েছিল। কিন্তু ধান পাকার শেষের দিকে ইদুরের অত্যাচারে সব হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতি রাতে বিঘা পর বিঘা জমির ধান ইদুর কেটে টুকরা টুকরা করে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।
ওইসব এলাকার চাষীরা জানান, এ বছর স্বরণ কালের শ্রেষ্ট ধান উৎপাদন হয়েছিল। ধান চাষেও তেমন অসুবিধায় পড়তে হয়নি। কিন্তু ইদুরের কবল থেকে রক্ষা মিলছে না। প্রতি রাতেই ইদুরের আক্রমন চলছে। প্রতিকারের কথা উলেখ করে তারা জানান, ইদুরের হাত থেকে বাচতে বিষটোপ, জাতিকল, সাপের সাদৃশ্য স্থাপনসহ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহন করেও কোন উপকার হচ্ছে না।
ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসুচি প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক মিতালী আকতার বলেন, আমরা উপজেলার ১০টি ব্লকের চাষীদের নিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করি। এখানে ধানের উতপাদনও হয়েছে খুব ভাল। কিন্তু ইদুরের কারনে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ পংকোজ কান্তি মজুমদার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার আমন ধান খুব ভাল হয়েছিল। এখন ইদুরের অত্যাচারে কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হতে চলেছে।