ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বছরের পর বছর ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর এক্সরে মেশিন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চালু করতে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে,সদর হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি প্রায় ৩ বছর আগে যান্ত্রিক ক্রটির কারনে নষ্ট হয়েছে। অন্য দিকে জেলার চারটি উপজেলার হেল্থ কমপ্লেস্ক (থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্র) গুলোর এক্সরে মেশিন বসানোর পর থেকেই সেগুলো বিনষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এদিকে সদর উপজেলা সংলগ্ন বর্ডারগার্ড (বিজিবি) ঠাকুরগাঁও সদর দপ্তর এলাকায় অবস্থিত পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁর এক মাত্র যক্ষা নিরাময় কেন্দ্রের এক্সরে মেশিনটিও প্রায় দুই যুগ ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য সেবা কমিটির মাসিক সভায় একাধিকবার এক্সরে মেশিন গুলো চালুর ব্যাপারে আলোচনায় উঠে। কিন্তুু রহস্য জনক কারণে মেশিন গুলো মেরামত করা হচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা মন্তব্য করে বলেছেন, কতিপয় মেশিন অপারেটরদের যোগ সাজসের কারণে সরকারি হাসপাতালের এক্সরে মেশিন গুলো এভাবেই পড়ে রয়েছে। ওই অপারেটরদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিক-হাসপাতাল ও প্যাথলজি সেন্টারের সখ্যতা থাকায় সাধারণ আয়ের মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বুধবার সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের মনিরুল ইসলাম আধুনিক সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসার জন্য আসেন। তাকে এক্সরে করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের এই ব্যবস্থা না থাকায় চড়া মূল্যে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে এক্সরে করতে হয় তাকে। মনিরুলের মতো অনেক রোগীর একই দশা।

এক্সরে মেশিন চালুর বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা.আফজাল হোসেন তরফদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
