ads

সোমবার , ৪ নভেম্বর ২০১৩ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

চলনবিলের ২০ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য আবাদ না হওয়ার আশংকা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৪, ২০১৩ ১০:৩০ অপরাহ্ণ

Chatmohar, Pabna Robi Abad Bahoto PIC (01)  (04-11-13)অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ ও দেরীতে সুইস গেটের কপাট খুলে দেওয়ায়  কৃষকের সর্বনাশ

জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহরে কাবিখার অর্থে জোলার (ক্যানেল) মুখ বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ, দেরীতে সুইস গেটের কপাট খুলে দেওয়ায় এবং মাছ ধরার জন্য বিলের মুখে প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধভাবে সুঁতী বাঁধ স্থাপন করায় দক্ষিণ চলনবিলের চাটমোহর, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির রবিশস্য আবাদ না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চলনবিলের দক্ষিণ অংশ পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে দুটি জোলা (ক্যানেল) দিয়ে বর্ষার পানি ঢুকতো এবং বের হতো। ২০০৯ সালে কিনু সরকারের জোলায় পাউবোর উদ্যেগে নির্মাণ করা হয় অপরিকল্পিত একটি ¯øুইসগেট। এই ¯øুইগেটে ত্র“টি থাকায় পানি প্রবাহ চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
অপরদিকে চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা বৌ-বাজার এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোলার উপর বাঁধ নির্মাণ করেন। এ খাতে ব্যয় করা হয় ৮ মেঃটন চাউল। এ কারণে পুরো বিল এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানি শুকিয়ে গেলেও বাঁধের কারণে বিলের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।
এছাড়া ¯øুইস গেটের কপাট খুলে দেওয়ার পর মাছ ধারার জন্য খলিশাগাড়ী বিলের মুখে প্রশাসনের সহায়তায় সুঁতী বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এতে করে পানি বের হতে সময় লাগছে। লাখ লাখ টাকার মাছ ধরে তা বিক্রি করা হচ্ছে। জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে কৃষকের স্বার্থ। ¯øুইস গেটের কপাট সময়মতো না খোলার কারণে বিলের পানি নিষ্কাশন হচ্ছিল না। কৃষক রবিশস্য আবাদ করতে না পারায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাউবোর ¯øুইস গেটের কপাট ২১ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়েছে। এই ¯øুইস গেটের কারণে চাটমোহর, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিলের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছিল। রবিশস্য আবাদ করতে পারছিলেন না কৃষক। এদিন সকালে দক্ষিণ চলনবিলের তিন উপজেলার সহস্রাধিক কৃষক চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ¯øুইস গেটের কপাট খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বিকেলে কপাট খুলে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিলে শত শত কৃষক গিয়ে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের নটাবাড়িয়ায় ¯øুইস গেটে গিয়ে অবস্থান নেয়। বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ নিয়ে গিয়ে ¯øুইস গেটের ১৪টি কপাটের মধ্যে ৫টি কপাট খুলে দেন। বর্তমানে সবগুলো কপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকরা জানান, বর্ষা মৌসুমে গুমানী নদীর পানি চাটমোহরের বিলচলন ইউনিয়নের কিনু সরকারের জোলা দিয়ে প্রবেশ করে। এই পানি দিয়ে দক্ষিণ চলনবিলের ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন হয়। আবার সময়মতো পানি বের হলে রবিশস্য আবাদ হয়। ২০০৯ সালে কিনু সরকারের জোলায় ¯øুইসগেট নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হতে থাকে।
বর্ষার সময় ¯øুইস গেটের কপাট বন্ধ করা হয়। পানি বের হতে না পারায় কৃষক সঠিক সময় পেঁয়াজ, রসুন, গম ও সরিষার আবাদ করতে পারছেন না। নির্মাণে ত্র“টি থাকায় চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ¯øুইসগেট বন্ধ ছিল। স্থানীয়ভাবে এটি খোলা সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণে বিলের চাষীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবারও কৃষক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। ¯øুইস গেট, অপরিকল্পিত বাঁধ ও সুঁতী বাঁধের কারণে রবিশস্য আবাদ না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলম বলেন, আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিশেষ করে বৌ-বাজারের জোলায় (নালা) যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে, তা কৃষির জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। তাছাড়া কিনু সরকারের জোলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই ¯øুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে মাছের বিষয়টি অমূলক। মাছের জন্য সিদ্ধান্ত হলে কৃষি আবাদ ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি পাবনা জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, আগে কৃষির বিষয়টি দেখতে হবে। মাছ ধরার জন্য কেই যদি সুঁতি দেয় এবং তাতে পানি নিষ্কাশনে বাধা হয়, তাহলে আমি বিষয়টি দেখবো। তিনি বলেন, বৌ বাজারে বাঁধ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এলাকার কৃষকরা খলিশাগাড়ী বিল জলকর হিসেবে চিহ্নিত না করে কৃষকের স্বার্থে তা উন্মুক্ত রাখা উচিত। এ ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নেবেন বলে কৃষকদের দাবি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!