মনির হোসেন পাটওয়ারী, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) : রামগঞ্জে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন গুলিবিদ্ধ ও পুলিশসহ উভয় পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে বিএনপি জামায়াতের কর্মী সোহান, সাদ্দাম, আরিফ, শাহাজাহান, রিপন, হোসেন, রাশেদ, রহমত উল্লাহসহ ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল হাসান, রামগঞ্জ থানার এসআই ফারুক, কামাল হোসেন, শামছুল আরেফিনসহ শতাধিক। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট সরকারের ৫ বছর মেয়াদের শেষ সময়ে এসে রামগঞ্জ উপজেলাব্যাপী বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেগে উঠেছে। শুক্রবার ২৫ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী সরকার বিরোধী মিছিল নিয়ে রামগঞ্জ পৌর শহরে জড়ো হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগান তোলে। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি জামায়াতের মিছিল লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। মুহূর্তেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেঁেধ যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও অর্ধশতাধিক গুলি বিনিময় হয়। ৩ ঘন্টা ব্যাপী দফায় দফায় ওই সংঘর্ষ চলে। এসময় থানা পুলিশ বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের দমাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যাপক লাঠি চার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও রামগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মনির আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রামগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রথম ভিপি আবদুর রহিম, রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান বাহার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পলাশ, ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুর রহমান রিপন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার আবুল হোসেন ও পৌর জামায়াতের আমীর দেওয়ান ইউসুফ। এছাড়া পৃথকভাবে সাবেক ৪ দলীয় জোটের এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া সমর্থিত নেতাকর্মীগন বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান বাহার ও উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি টিপু সুলতান ভূঁইয়া জানান, আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এসময় আমাদের ১৫ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ সহ ৫০ জন আহত হয়। সৃষ্ট ঘটনায় সন্দেহভাজন ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।


