হুমায়ুন কবির মৃধা, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গৃহহীন সাওতাল কন্যা মালাবতিকে ঘর প্রদান করেছে কানাডা প্রবাসী প্রকৌশলী আকরামুল ইসলাম খাঁন। ২২অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে আদিবাসী অধ্যুষিত গুড়পিপুলের গোশাইপাড়া গ্রামে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক বিল¬াল হোসেন মালাবাতির হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন। এ সময় কানাডা প্রবাসী প্রকৌশলী আকরামুল ইসলাম খাঁন, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তোফায়েল হোসেন, ভোরের কাগজের মফস্বল বার্তা সম্পাদক আব্দুল মোতালেব, প্রকৌশলী আকরামুল ইসলাম খান, তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রফিক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসান, সিরাজগঞ্জ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সুকান্ত সেন উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদ হল রুমে কানাডা প্রবাসী প্রকৌশলী আকরামুল ইসলাম খাঁনকে তাড়াশ রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, মালাবতির বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আদিবাসী অধ্যুষিত গুড়পিপুলের গোশাইপাড়া গ্রামে। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া জানা মালাবতি স্কুল থেকে ছিটকে পরে সংসারে হাল ধরতে হয় ছোট্ট বয়সে তার বাবা কোকন শিং মারা যাবার পর। তার মা অসুস্থ থাকায় মাঠের কাজ করতে না পারায় মালাবতির আয়েই চলতে থাকে ২ বোন ও মায়ের সংসার। অসহায়, দুস্থ, শ্রমজীবি কিশোরী মালাবতির করুণ জীবনকে কেন্দ্র করে প্রতিবেদন ছাপা হয় গত জানুয়ারী মাসের দৈনিক ভোরের কাগজে। সুদূর প্রবাস জীবনে কানাডা বসে ইন্টারনেটে ভোরের কাগজে মালাবতির প্রতিবেদন পাঠ করে সাহায্যের হাত বাড়ান প্রকৌশলী আকরামুল ইসলাম খাঁন । তিনি মালাবতির পরিবারের বসবাসের জন্য তৈরি করার ব্যবস্থা করেন ২৪ ফুট লম্বা একটি টিনের ছাউনী ও টিনের বেড়ার ঘর। ঘরটি ব্যয় দাড়ায় ৭০ হাজার টাকা। আর তিনি এ টাকার যোগান দেন প্রবাস থেকেই।
