হুমায়ুন কবির মৃধা, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে জেলা বিএনপি’র ডাকে অর্ধদিবস হরতাল ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলির মধ্য দিয়ে পাািলত হয়েছে। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে শুরু হওয়া হরতালের শুরুতেই সকাল পৌনে ৭টার দিকে শহরের এসবি ফজরুল হক রোডে পুলিশকে লক্ষ্য করে একটিসহ মোট ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি কর্মীরা। ওই সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। একই সময়ে ওই স্থানে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে এক রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া শহরে হরতালের সমর্থনে কোন মিছিল বা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। বন্ধ থাকে জেলা বিএনপি কার্যালয়। অন্যান্য হরতালের মতই কেন্দ্রীয় এম এ মতিন বাসষ্ট্যান্ড থেকে আন্তঃজেলা বা দুরপাল¬া রুটের কোন বাস ছেড়ে যায়নি। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক হয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শহরে কিছু রিক্সা-ভ্যান চলাচল করেছে। এদিকে শহরের অধিকাংশ দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

উলে¬খ্য, রবিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশের সাথে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল¬াত মুন্নার বাসা ও ক্লিনিকে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই বিএনপির ৬শতাধিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৪ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবারের ওই অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় জেলা বিএনপি। পরে হরতালে সমর্থন দেয় জেলা জামায়াত।
