স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রনে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ অক্টোবর বুধবার দুপুরে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ওই গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন।
বৈঠকে জানানো হয় যে, সীমান্তবর্তী ও যক্ষ্মা প্রবণ এলাকা হলেও শেরপুর জেলা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রনে জাতীয়ভাবে আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। জেলায় গত বছর ৪শ ৬ জন রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় চলমান রোগী (চিকিৎসাধীন) রয়েছে এক হাজার ২৫৭ জন। তন্মধ্যে ‘এমডিআর’ বা (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স) রোগী রয়েছে একজন। সরকারীভাবে এখন সন্দেহভাজন যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণের খরচসহ বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ ও গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে গোলটেবিল বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. আ.স.ম. আব্দুছ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএ নেতা ডা. এটিএম মামুন জোস ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাকন রেজা। সিএস অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সেলিম মিয়া ও ব্র্যাক এডভোকেসী সমন্বয়কারী সারোয়ার হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি আতাউর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক হাকিম বাবুল গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন। গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক শামছুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক হাবেজ আহাম্মেদ, এটিএম জাকীর হোসেন, মুহাম্মদ আবু বকর, সঞ্জীব চন্দ বিল্টু, আব্দুর রহিম বাদল, রফিকুল ইসলাম আধার, শরীফুর রহমান, আব্দুর রফিক মজিদ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, চিকিৎসক, সাংবাদিক, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি ও সমাজকর্র্মীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।

