ads

সোমবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শামুক কুড়িয়ে স্বাবলম্বী ৩শ পরিবার : প্রতিদিন বিক্রি আড়াই লাখ টাকা

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৩ ৭:১২ অপরাহ্ণ

Shamuk 1এস.এম আজিজুল হক (আজিজ), পাবনা : পাবনার ঈশ্বরদীতে শামুক কুড়িয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে প্রায় ৩’শ পরিবার। শুধুমাত্র শামুক বিক্রি ও সরবরাহের জন্য ঈশ্বরদীতে রীতিমত গড়ে উঠেছে কয়েকটি শামুকের আড়ত। শামুক কুড়ানোর কাজে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত এলাকাবাসি ও ব্যবসায়ীরা জানান, বানিজ্যিক ভিত্তিতে প্রতিদিন ঈশ্বরদী থেকে গড়ে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার শামুক যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
ঈশ্বরদীর শামুক ব্যবসায়ী আশরাফ আলী জানান, ঈশ্বরদী থেকে প্রতিদিন  দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি ঘের এলাকা সাতক্ষিরা, বাগেরহাট ও খুলনায় পাঠানো হয় এসব শামুক। শামুক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি, কালিকাপুর ও আড়কান্দি এলাকায় বেশ কয়েকটি অস্থায়ী আড়ত স্থাপিত হয়েছে। এখান থেকেই এই শামুক ট্রাক ভর্তি করে পাঠানো হয় ওই সব দুর-দুরান্তের এলাকায়।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন খাল-বিল ও ডোবা-নালা, জলাশয় থেকে সংগ্রহকৃত শামুক ওই আড়তে জমা হয়ে সন্ধ্যায় ট্রাকযোগে খুলনায় পাঠানো হয়। ঈশ্বরদীর মূলাডুলি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের শামুক সংগ্রহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন শামুক কুড়িয়ে তিনি ২ থেকে ৩’শ টাকা আয় করেন। ঈশ্বরদী দাশুড়িয়া, মূলাডুলি, কালিকাপুর ও আড়কান্দিসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩’শ মানুষ এই শামুক কুড়ানোর কাজে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে। বিকেলে বিক্রির জন্য স্থানীয় শামুকের আড়তে নিয়ে যায়।
ওইসব এলাকার শত শত মানুষ এমনকি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও ছুটির দিনে শামুক কুড়িয়ে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে। মূলাডুলি, রাজাপুর, গোপালপুর, চান্দাই, দাসগ্রাম, কদিম চিলান, আটঘড়িয়া, গড়মাটি, মাঝগ্রাম, কাছিমপুর, রামনাথপুর, মহেশ্বর কুজিপুকুর, কলস নগরসহ আশ পাশের বিভিন্ন এলাকার খাল-বিল ও ডোবা নালা ও জলাশয় থেকে এই শামুক সংগ্রহ করা হয়। স্কুল ছাত্র বাবুল হোসেন জানান, বাড়িতে অভাবের সংসারে কিছুটা সহযোগিতা করা হবে ভেবেই সে ছুটির দিনে শামুক কুড়িয়ে কিছু বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে। শামুক কুড়াতে আসা অনেকেই জানান, শখের বসে ছুটির দিনে স্কুল-কলেজের ছেলে মেয়েরাও শামুক তোলার কাজ করে থাকে। এতে তারা লজ্জা বা সংকোচ বোধ করেনা বরং তারা সবাই এক ধরণের প্রতিযোগিতায় নামে। কে-কার চেয়ে বেশি শামুক কুড়াতে পারে।
শামুক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদীতে প্রতি বস্তা শামুক শ্রমিকদের কাছ থেকে ২শ টাকায় তারা কেনেন আর ওই শামুক খুলনায় নিয়ে গিয়ে তারা বিক্রি করেন প্রতিবস্তা ২৫০ থেকে ৩’শ টাকায়। একজন শামুক কুড়ানো শ্রমিক গড়ে প্রতিদিন ২ থেকে ৪’শ টাকার শামুক কুড়াতে পারেন। স্থানীয় শামুক ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, দুলাল উদ্দিন ও সবুজ ইসলাম জানান, আমরা ক্রয়কৃত শামুক দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়িঘের এলাকা সাতক্ষিরা, বাগেরহাট ও খুলনায় সরবরাহ করে থাকি। ঈশ্বরদীর এই শামুক ওইসব এলাকার ঘের মালিকরা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। শামুকের স্থানীয় আড়তদার আশরাফ শেখ জানান, ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন প্রতিদিন শত শত বস্তা শামুক আমাদের কাছে এনে বিক্রি করে। এসব এলাকার বহু মানুষ শামুক কুড়ানোকে তাদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
Shamukব্যবসায়ীরা জানান, এই শামুক ব্যবসাটি ঈশ্বরদীতে প্রায় ৯/১০ বছর ধরে চলে আসছে। বছরের বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু হয়ে বর্ষার শেষ পর্যন্ত এই শামুক তোলা ও ব্যবসার কাজ চলে। স্থানীয় সাবেক মেম্বার আব্দুস সামাদ জানান, শামুক কুড়িয়ে এই এলাকার প্রচুর মানুষ এখন স্বাবলম্বি হয়েছে, অনেকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকেও পেয়েছে মুক্তি। ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে অনেকের।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!