স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে এক ছাত্রদল নেতাকে আটকের জের ধরে যুবদল ও ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও শহরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ১৬ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশের ৩ সদস্যসহ যুবদল ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করে। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানাযায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের গৃর্দানারায়নপুরস্থ জেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল এর বাসার সামনে থেকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একধিক মামলার পলাতক মো: রাসেল মিয়া (২০)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পুলিশের কাছ থেকে গ্রেফতারকৃত রাসেলকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থহয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় নেমে চলাচলকারী ৬টি গাড়ী ভাংচুর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও ৬ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এব্যাপারে শেরপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্যামলবাংলাকে বলেন, গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল নেতা রাসেল একাধিক মামলার পলাতক আসামী। তাকে আদালতের ওয়ারেন্টমূলে গ্রেফতারের পর তার সহযোগীরা শহরে গাড়ি ভাংচুরসহ পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদান ও ইটপাটকেল ছুড়ে যেতান্ডব চালিয়েছে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে জেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল শ্যামলবাংলাকে জানান, ছাত্রদলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করার লক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর আওতায় সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু হওয়ায় পুলিশ হঠাৎ করেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
