রেজাউল করিম বকুল, শ্রীবরদী (শেরপুর) ॥ ‘মেলা চেষ্টা করলাম। অহনও এডা কার্ড অইলো না। মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কইলাম। কেউ আমার কথা শুনলো না। আপনারাই কন আর কত বয়স অইলে আমার কার্ড অইবো।’ সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বললেন ৯৬ বছর বয়সী বিধবা মমেনা বেগম।
মমেনা বেগম শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের ভটপুর গ্রামের মৃত মজিবর আলীর স্ত্রী। তার বাবার নাম মৃত সোবাহান শেখ। মা মৃত সিন্দুরি বেওয়া। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়ে দুটিকে বিয়ে দিয়েছেন অন্যত্র। ছেলেটাও দীর্ঘদিন যাবত অসুখে ভুগছে। মমেনা থাকেন ছেলের সাথে একটি ঝুপড়ি ঘরে। এটিও অন্যের জমিতে। হতদরিদ্র এ বৃদ্ধা আগে আশপাশের বাড়িতে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন আর হাটা-চলা করতে পারেন না। এজন্য ঝুপরি ঘরে পড়ে থাকেন। কেউ খাবার দিলে খান, না দিলে উপোষ থাকতে হয় তাকে। চেয়ে থাকেন নিয়তির দিকে।
এ ব্যাপারে কথা হয় ওই বৃদ্ধার ছেলে সুরুজ মিয়া সাথে। তিনি বলেন, আমার বয়স প্রায় ৭০ বছর। আমি নিজেও অসুখে ভুগছি। আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন অসুখের কারণে তাও করতে পারিনা। এখন নিয়তি ছাড়া আমগোর আর উপায় নাই। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লূৎফর রহমান বলেন, তারা আমার কাছে এসেছিল। তাদের দুরাবস্থা দেখে আমি তার নাম তালিকা করে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন জানতে পারলাম তালিকায় তার নাম নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরকার নাছিমা আকতার বলেন, আমি তার নাম লিখে নিলাম। তার নাম কার্ডের তালিকা অন্তর্ভূক্তির জন্যে গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।