শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও প্রথম মহিলা আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসনারা বেগম (৬৪) আর নেই। তিনি ১৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। একইদিন রাতে ময়মনসিংহ সদরের বাদেতল্পা মহল্লার পৈতৃক নিবাসে নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে অ্যাডভোকেট হাসনারা বেগমের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার শেরপুর বিচার বিভাগে ফুলকোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের সভাপতিত্বে রেভারেন্স অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান মাহমুদসহ বিচারকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত হাসনারা বেগমের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান। পরিচালনা করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছামিউল ইসলাম আতাহার। ওইসময় সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব ও পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানসহ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ অংশ নেন।

জানা যায়, অ্যাডভোকেট হাসনারা বেগমের স্বামী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবীবুল্লাহ হাবিবের বাড়ি জামালপুরের নান্দিনাসংলগ্ন ইটাইল এলাকায় হলেও তিনি শেরপুর বিচার বিভাগে চাকরির সুবাদে শহরের বাগরাকসা মহল্লায় বসবাস করে আসছিলেন। সেই সুবাদে অ্যাডভোকেট হাসনারা বেগম ১৯৯০ সনের দিকে শেরপুরে আইনপেশায় যোগদান করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর সক্রিয়ভাবে আইনপেশায় নিযুক্ত থাকলেও প্রায় ৫ বছর যাবত তিনি ডায়বেটিকসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহে চাকরীজীবী মেয়ের সাথে জীবন কাটাচ্ছিলেন। তিনি একসময় জাতীয় পার্টি এবং পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।

