শেরপুরের নকলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমাছ উদ্দিনের (৭২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নকলা থানার পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। আলমাছ উদ্দিনের বাড়ি নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের দধিয়ারচর গ্রামে।
পুলিশ ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার ও চরমধুয়া বাজারে বাজার করার উদ্দেশে মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ উদ্দিন দধিয়ারচর গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর সকাল সাড়ে আটটার দিকে দধিয়ারচর গ্রামের বাড়ির অদূরে একটি স্থানে মাটির ওপর তাকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। সংবাদ পেয়ে তার স্বজনেরা সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা তানজিলা মাহবুব মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা আলমাছের মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জমিজমা নিয়ে থেকে এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিতর্ক রয়েছে।
তাই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে মৃতের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।