ads

রবিবার , ৬ এপ্রিল ২০১৪ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ভোলাহাটে ফকির বাবার বিকাশে প্রতারণা

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
এপ্রিল ৬, ২০১৪ ১২:২২ অপরাহ্ণ
ভোলাহাটে ফকির বাবার বিকাশে প্রতারণা

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভোলাহাটে পৃথিবীর মাজারের ফকির বাবার খপ্পরে পরে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুটানীবাজার সংলগ্ন আলালপুর গ্রামের আমজেদ আলীর ছেলে মোসবুল(৩৮) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর “পৃথিবীর মাজার” থেকে জনৈক ভণ্ডফকির, লোভি-প্রতারকের খপ্পরে পরে ৭ হাজার, ২শত টাকা মোবাইল বিকাস নম্বরে দিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। ঘটনায় প্রতারিত মোসবুলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে পৃথিবী মাজারের ভণ্ড মোবাইল ফকির মোসবুলকে নানা লোভ দেখিয়ে যেমনটি তার বসবাসরত বাড়ীটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও তাকে সব সময় পাক-পবিত্র থাকতে হবে, কাউকে ফকিরের কথা বলা যাবে না। সতি নারীর ৬ কেজি দুধ সংগ্রহ করতে হবে আরো সব কিছু বুঝিয়ে কৌশলে ফকির বাবার করায়ত্বে নেয়। ভণ্ড ফকির মোসবুলকে বেকায়দায় ফেলতে উপরোক্ত নিয়মানুযায়ী চলার জন্য বলে। পরিশেষে সে (মোসবুল) ৬ কেজি সতি নারীর দুধ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফকির নিজেই দুধ সংগ্রহ করবে এবং মোসবুলকে ৬ হাজার টাকা দুধের মূল্য আর ১ হাজার টাকা খরচ বাবদ সর্বমোট ৭ হাজার টাকা বিকাস নম্বরে পাঠাতে বলে। এ পরিমান টাকা পাঠানোর দু’দিন পূর্বে মোসবুলের নিকট থেকে ২শত টাকা ফ্ল্যাক্সিলোড নেয় ফকির বাবা। বিনিময়ে মোসবুল তার ঐ পাক-পবিত্র বাড়ীর ঘরের মেঝেতে ৪ হাঁড়া সোনা ও ৩ হাঁড়া রূপা পাবে। কথায় বলে “লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু বা অতি লোভে তাঁতী নষ্ট”। অধিক লোভ বশত বেশী পেতে গেলে যা আছে তাও হারাতে হয়। বেশী লোভ করতে গিয়ে নিজেই সর্বশান্ত হয়েছে মোসবুল। উলে­খ্য, স¤প্রতি উপজেলার গোহালবাড়ী ইউপি’র রাধানগর কলোনী গ্রামের বাবুল আক্তারের স্ত্রী নাসিমা(২৯) ঐ কথিত ভণ্ড ফকিরের খপ্পরে পরে তার কানের সোনা অন্যের কাছে বন্ধক রেখে প্রায় সারে ৩ হাজার, কালাই রুটির দোকানদার বজরাটেক গ্রামের মৃত নুরুল মাইছার ছেলে আহসান আলী(২৮)’র কাছে সারে ৩৭হাজার, জমি-জমা ভাগে পাওয়ার টাকা থেকে আলীসাহাসপুর গ্রামের মৃত সামসুদ্দিনের ছেলে বুলু শেখ(৪৫)’র ১লাখ ৮৫হাজার টাকা খুইয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের এ সোনারদেশের সোনার মানুষ গুলো ভণ্ড ফকিরের খপ্পরে পরে এ ডিজিটাল যুগেও সর্বশান্ত হচ্ছে আর্থিক ভাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে এলাকার অভিজ্ঞমহল তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।

ভোলাহাটে নাট্যকার মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের
সখিনা কলিম মেধা প্রণোদনা বৃত্তি প্রদান

Shamol Bangla Ads

প্রখ্যাত নাট্যকার মমতাজ উদ্দিন আহমদ তার বাবা কলিমুদ্দিন আহমদ ও মা বেগম সখিনা খাতুন স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়ার সহসভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের ভোলাহাট মোহŸুল­াহ মহাবিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন নগদ ২লাখ ৫০হাজার টাকার চেক প্রদাণ করেছেন। শনিবার বিকালে কলেজ মিলনায়তন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে অধ্যক্ষ(ভার:) সহঅধ্যাপক জামশেদ আলীর সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ, বিদ্যুৎসাহী সদস্য উপজেলা আ’লীগের সিনিয়ার সহসভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, আমেরিকা অবস্থানকারী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কলেজ উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সহঅধ্যাপক তাহাজ্জাদ হোসেন।

ভোলাহাটে সবজা স্কুলের তদন্তে গড়িমশি
সবজা স্কুলের সুনাম, সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের কারণে দূর্ণাম!
সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিবেন কি ?

ভোলাহাটে সবজা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় একটি সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁর সুনাম-খ্যাতি আর ঐতিহ্য বহন করে আসলেও বর্তমানে স্কুলটির সভাপতি আর প্রধান শিক্ষকের কারণে সেই সুনাম হারাতে বসেছে বলে এলাকায় গুঞ্জণ উঠেছে। এ ব্যাপারে স¤প্রতি বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন ওয়েব সাইট গুলিতে ফলাও করে খবর প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি না দেয়ার কারণে স্কুলটির পড়া-লেখা স্থবির হতে বসেছে। এমনকি ঐ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা অন্যত্র ভর্তি হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধাšত নিতে কুণ্ঠাবোধ করছে না বলে দৃশ্য প্রতিয়মাণ। এলাকায় কথা উঠেছে সবজা স্কুলের তদন্ত করতে গড়িমশি! নাকি সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের টু-পাইসের হাত লম্বা! সবজা স্কুরের সুনাম, বর্তমানে সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের কারণে দুর্ণাম এমনও বলতে শুনা গেছে। স্কুলটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ২০ নভেম্বর’১৩, জেলা প্রশাসক ৩০ ডিসেম্বর’১৩, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ৩ ফেব্র“য়ারী’১৪ পর্যায়ক্রমে তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করলে তার আলোকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কাউসার নাসরিন স্বাক্ষরিত ২৭ ফেব্র“য়ারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস শুকুরের বিরুদ্ধে ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফরাজুল হক বাবুর বিরুদ্ধে মহা পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে প্রতিষ্ঠানটির এমপিও স্থগিত/বাতিল করার বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশপত্র প্রেরণ করেন। সর্বশেষে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে ভোলাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নকিবুল হাসান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী ও ডিইও/চাঁপাই/১৯০ তারিখ ১৬ মার্চের সূত্র ব্যবহার করে ১ এপ্রিল সরজমিন স্কুলে গিয়ে বিকাল সারে ৩টায় তদন্ত করার জন্য ম্যানেজিং কমিটিসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের নোটিশ করে তদন্ত করেন। এ সময় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, সাবিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করে বলেন, মন্ত্রণালয়, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে শাস্তি চূড়ান্ত নির্দেশের পর কেমন তদন্ত হবে ! এ ছাড়া ইতিপূর্বের তদন্ত থেকে বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তাকে পক্ষপাত দোষে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক বাদ দেয়া হয়েছিলো বলে জানান। তারপরেও মন্ত্রণালয়ের দেয়া শাস্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে আমলে না নিয়ে পূনরায় তদন্ত করতে গেলে কমিটির সদস্য ও অন্যান্যরা বিভিন্ন সময়ের করা তদন্ত প্রতিবেদনের ফটোকপি সংযুক্ত একটি লিখিত পত্র দিয়ে ও স্বাক্ষর করিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সঠিক তদন্ত করা হয়েছে এবং প্রকৃত বিষয়টি লিখিত আকারে প্রতিবেদন পাঠাবেন বলে জানান। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত শাস্তির নির্দেশের পর আর কোন তদন্ত বা ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা জেলা বা শিক্ষা বোর্ডের থাকে কি না এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে পূনরায় তদন্ত করা আইন সম্মত কি না প্রশ্ন করা হলে জেলা কর্মকর্তা বলেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ সম্পর্কে তার জানা নেই এবং নির্দেশ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!