নরসিংদী প্রতিনিধি : মেঘনার পানিতে তলিয়ে যাবার দুইদিন পরও নিখোঁজ সাগরের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের ডুবুরিরা রবিবার থেকে অব্যাহতভাবে সারারাত সারাদিন লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। কোথাও নিখোঁজ সাগরের লাশের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ভৈরব উপজেলা শহরের লাবনী কটেজের বাসিন্দা মনিরুজ্জামানের ছেলে সাগর আমেরিকায় থেকে পড়াশোনা করতো। সম্প্রতি সে দেশের বাড়ীতে বেড়াতে আসে। ১০ জানুয়ারী সোমবার তার পূনরায় আমেরিকায় ফিরে যাবার কথা ছিল। রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজীব নামে তার এক বন্ধু তাকে বেড়াবার কথা বলে ভৈরব থেকে নরসিংদীর চরাঞ্চলের বাউশিয়া গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে সাগর, রাজীব, নাঈম, সুমি ও পপি নামে ৫ বন্ধু-বান্ধবী মিলে জনৈক হকসাব মাঝির নৌকায় চড়ে বাউশিয়া গ্রামের মেঘনার একটি গোপের পানিতে ভ্রমন করতে যায়। বেলা ১ টায় নৌকা থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়ে বন্ধু রাজিব গোসল করার সময় ডুবে যাবার উপক্রম হয়। এসময় রাজিব পানিতে থেকে সাগরের সহযোগিতা চাইলে সাগর তাৎক্ষণিকভাবে পানিতে লাফিয়ে পড়ে রাজিবকে উদ্ধার করে নিজেই পানিতে তলিয়ে যায়। ঘটনার আকষ্মিকতায় সবাই প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়ে। পরে তাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে সাগরকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে নরসিংদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজীব, নাঈম, সুমি ও পপিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এবং সাগরের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এতেও তারা সফল হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর থেকে স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আবুল খায়ের ও ফজলুল রহমান নামে দুইজন ডুবুরি গতকাল সোমবার সারাদিন লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কোথাও সাগরের লাশের সন্ধান মিলেনি। এদিকে মেঘনার পানিতে সাগর তলিয়ে যাবার ঘটনার খবর নরসিংদীর সারা চরাঞ্চল ও জেলা শহরে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। শত শত মানুষ সাগরের লাশ উদ্ধার প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে ডুবুরিরা ব্যর্থ হলে সবাই বিফল মনোরথে ফিরে যায়।