এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের পাঁচমাথা মোড়ের রেলক্রসিং গেটটি বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়তই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সৈয়দপুর-ঢাকাগামী আন্ত:নগর নীলসাগর, সৈয়দপুর-খুলানাগামী রুপসা, সৈয়দপুর-রাজশাহীগামী আন্ত:নগর ট্রেন বরেন্দ্রসহ প্রায় ৭টি ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে। ওইসব শহর অতিক্রম যাওয়ার সময় এবং রেলওয়ে অফিসারদের ট্রলি আসা-যাওয়ার কারণে প্রায় ১০ বার রেলগেটটি ফেলতে হয়। ওই রেলগেটের একটি অনেক আগে নষ্ট হয়ে পড়ায় একটি গেট ফেলে লোকজনকে আটকিয়ে ট্রেন চলাচল করে। কিন্ত প্রায় সময় দেখা যায়, গেটের ভিতর দিয়ে মানুষ ও সাইকেল পারাপার করা হয়। কিছুদিন আগে চিলাহাটি- রাজশাহীগামী তিতুমীর একপ্রেস এক মোটর সাইকেল টেনে নিয়ে যায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত। এতে মোটর সাইকেলে আগুন ধরে গেলে মোটর সাইকেল থেকে লাফিয়ে নামেন চালক এবং ট্রেনটি বড় ধরণের দুঘটনা থেকে রক্ষা পায়। কর্মচারিদের অবহেলার কারণে কোনো সময় গেটও ফেলা হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে। সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১নং রেলঘুমটি এলাকায় দুটি গেটের একটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। রমজান ঈদের আগে থেকে ওই গেটটি অকেজো হয়ে গেছে। প্রায় কয়েকটি দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল মানুষ। গেট কিপার অলিউর রহমান জানান, আমি এ বিষয়টি অনেক আগেই কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই সাধারণ মানুষ মনে করছেন কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় অহরহ দূর্র্ঘটনা ঘটছে।
