ads

রবিবার , ৩ নভেম্বর ২০১৩ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনী হাওয়া : পটুয়াখালীর ৪ টি আসনেই চলছে আওয়ামী লীগের ধরে রাখা আর বিএনপির পুনরুদ্ধারের চেষ্টা

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
নভেম্বর ৩, ২০১৩ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

Potuakhaliপটুয়াখালী সংবাদদাতা : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর ৪টি আসনেই প্রধান দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ-তৎপরতা বেশ জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকার পরও নির্বাচানী তৎপরতা থেকে কেউ বিরত নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পটুয়াখালীর ৪টি আসনেই আওয়ামী লীগ জয়ী হলেও এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দলটি। এখন চলছে আসন ৪টি ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের চেষ্টার পাশাপাশি বিএনপির পুনরুদ্ধারের চেষ্টা।
জেলার ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালীর ৪টি নির্বাচনী আসন। আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত এ ৪ টি আসনে স্বাধীনতার পর বিগত ৯টি নির্বাচনের মধ্যে ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দু’টি এবং বিএনপি দু’টি, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১টি এবং জাতীয় পার্টি ৩টি, ১৯৮৮ সালে প্রধান বিরোধী দলবিহীন চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনই দখল করে নেয় জাতীয় পার্টি। প্রথম নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩টি এবং বিএনপি ১টি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলবিহীন বিতর্কিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনই দখল করে নেয় বিএনপি। ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনই পায় আওয়ামী লীগ, ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দু’টি এবং বিএনপি দু’টি এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪টি আসনেই বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবারের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের একে অন্যের প্রতি সন্দেহ, অবিশ্বাস আর প্রতিশোধের নীরব খেলায় ওই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সুযোগটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। সহসাই অভ্যন্তরিণ কোন্দল নিরসন না হলে এবার মাশুল গুনতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে।
পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী) : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বর্তমান এমপি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আশাবাদী। বেশ আগেভাগেই শুরু হয়েছে তার তৎপরতা। তবে আওয়ামী লীগ থেকে আরও কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী তৎপর রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মৃধা ও দুমকী উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার অন্যতম। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দলের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সাবেক পৌর মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু এবং আজমত গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. আতহার উদ্দিন। জাতীয় পার্টি থেকে দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাসদ থেকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হাবিবুর রহমান শওকত মনোনয়ন চাইবেন। তবে মহাজোটগত নির্বাচনের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে পারে- এমন গুঞ্জনও রয়েছে এলাকায়।

Shamol Bangla Ads

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) : এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আ স ম ফিরোজ এবারও মনোনয়ন পেতে আশাবাদী। তবে দলের আরও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটি লিমিটেডের চেয়্যারম্যান এবং বাউফল সাহেদা-গফুর-ইব্রাহিম মেমোরিয়াল জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা এএসএম ফিরোজ আলম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি মো. শহীদুল আলম তালুকদার, বাউফল উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম ফারুক আহমেদ তালুকদার ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের সাবেক ভিপি মো. মুনির হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) : এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা অন্যান্য আসনের চেয়ে দীর্ঘ। খোদ আওয়ামী লীগেই রয়েছেন একজন মহিলাসহ ১৬ জন। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি ও মন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন ও বর্তমান এমপি গোলাম মাওলা রনি উল্লেখযোগ্য হলেও নানা নাটকীয়তার কারণে শেষ পর্যন্ত গোলাম মাওলা রনি মনোনয়নের দৌড়ে বিরত থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে আখম জাহাঙ্গীর হোসেনের সম্ভাবনা বেশি হয়ে দেখা দিতে পারে। তবে ওই দুই জনের বাইরেও এবার মনোনয়ন বোর্ডের মুখোমুখি হবেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক খান মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন, গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আবদুল ওহাব খলিফা, দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক কামরান সাইদ প্রিন্স মহব্বত, গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব  মো. শাহ আলম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম ফজলুল হক, শিল্পপতি এমএ বাশার ডাবলু, আওয়ামী লীগ আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ফোরকান আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা রাজিউদ্দিন রাজু, দশমিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন শওকত, দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন এবং জেলা যুবলীগের প্রয়াত সভাপতি আহসান হাবিব খানের সহধর্মিণী খায়রুন নাহার লাকি।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান খান, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি হাসান মামুন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা ও শিল্পপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা। জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন জেলা জামায়াতের নায়েবের আমির অধ্যাপক মো. শাহআলম।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) :এ আসন থেকে বর্তমান এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান তালুকদার এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আশাবাদী। তবে দলের অন্যান্য প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কলাপাড়া শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম, সাবেক এমপি মরহুম মো. আনোয়ার-উল ইসলামের ছেলে যুক্তরাষ্ট্র শাখার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আল সাইফুল (সোহাগ), যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মুহিব, সাবেক এমপি সৈয়দ আবুল হাসেম মীরের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আখতারুজ্জমান কোক্কা, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ ওসমানী ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল আলম টিটো।
বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সাধারণ সম্পাদক, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবিএম মোশাররফ হোসেন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির। এ ছাড়া সাবেক এমপি আবদুল রাজ্জাক খান জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সম্ভাব্য একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে তৎপর রয়েছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!