শ্যামলবাংলা ডেস্ক : মহালয়ার মধ্য দিয়ে ১০ দিন আগে যে উৎসবের শুরু হয়েছিল, ঢাকের বাদ্যে, সিঁদুর খেলায় তা শেষ হচ্ছে ১৪ অক্টোবর সোমবার। হিন্দু ধর্মমতে, বিজয়া দশমীর এই দিনে মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। এখন তাই চলছে দেবীকে বিদায় জানানোর শেষ পর্ব। সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে বিজয়া দশমীর বিহিত পূজা আর দর্পণ বিসর্জন চলছে।
ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে কেন্দ্রীয় বিজয়া শোভাযাত্রা বের হবে। এর আগেই নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিমা জড়ো করা হবে পলাশী মোড়ে। সেখান থেকে ঢাক বাজিয়ে নেচে গেয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বুড়িগঙ্গার তীরে শেষ হবে শোভাযাত্রা। রাজধানীর বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে আসা দেবী প্রতীমা সেখানেই বিসর্জন দেয়া হবে।
রোববার মহা নবমীতে সারা দেশের সাড়ে ২৮ হাজার পূজামণ্ডপে নামে লাখো মানুষের ঢল। ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীরা মণ্ডপগুলোতে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করেন, মেতে ওঠেন উৎসবের মহানন্দে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবমীতে গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। সব ধর্মের মানুষের প্রতি সম্প্রীতি বজায় রেখে চলার অহ্বান জানান তিনি।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দশভূজা দেবী দুর্গা শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্তলোকে আসেন। সঙ্গে আসেন তার দুই মেয়ে লক্ষ্মী, সরস্বতী আর দুই ছেলে গণেশ ও কার্তিক। এবার দেবী এসেছেন দোলায় চড়ে, যাবেন গজে চেপে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দোলায় চড়ে দেবির আগমণ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বার্তা দেয়। তবে তিনি হাতিতে চড়ে বিদায় নেয়ায় পৃথিবী হয়ে উঠবে সুজলা-সুফলা, শস্য শ্যামলা।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে সোমবার সরকারি ছুটি। দিনটি উপলক্ষে টেলিভিশন ও বেতারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সকালে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
