সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : শরতের শিশির ভেজা ধরণীতে মা দুর্গা মর্ত্যলোকে আসছেন শান্তির বার্তা নিয়ে। ১০ অক্টোবর থেকে সারা দেশের মত সিরাজগঞ্জেও শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধমীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। আর তাই পূজা মন্ডপ ও এর আশপাশের এলাকা বণিল সাজে সজ্জিত করে তোলার শেষ মূহুর্তের কাজে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে হিন্দুধর্মাবম্বীরা। প্রতিমাগুলোকে আরও সুদৃশ্য করে তুলতে রং তুলির শেষ আঁচড় দেয়ার কাজে ব্যস্ত প্রতিমা তৈরীর কারিগরেরাও। এদিকে পূজামন্ডপ গুলোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে সার্বিক ব্যবস্থা। সিরাজগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, জেলা পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, এ বছর সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় মোট ৪শ ১০টি মন্দির ও অস্থায়ি পূঁজা মন্ডবে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে মন্দির ও অস্থায়ি পূজা মন্ডবে চলছে সাজ সজ্জা ও পরিষ্কারের শেষ মূহুর্তের কাজ। মন্ডপ এলাকাসহ জেলা সদর ও উপজেলা শহরগুলোর প্রধান সড়কে করা হচ্ছে আলোকসজ্জা। প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এখন শেষ মূহূর্তের রং তুলির আচড় দেয়া হচ্ছে।
পূজা উদযাপন পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সন্তোষ কুমার কানু বলেন, দূর্গাপূজা শুধু হিন্দু ধর্মালম্বিদের ধর্মিয় উৎসব নয়, এটি এখন বাঙ্গালির উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও এই উৎসব উপলক্ষে জেলার প্রতিটি শহরে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। এই উৎসব সার্বজনীনভাবে পালনের জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সিরাজগঞ্জের পূজা মন্ডপগুলোর পূজা দেখতে উত্তরঞ্চলের প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। ওই লোকসমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখেই সাজানো হচ্ছে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলা আইন শৃঙ্খলা সভার মাধ্যমে প্রতিটি পুজা মন্ডপে পুলিশের পাশাপাশি সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার ৬শ ৯০ জন পুরুষ ও নারী আনসার সদস্যদের নিয়োগের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন জানান, দূর্গাপূজা মন্ডপগুলোতে আইন শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ ও র্যাবের অতিরিক্ত টহল দল সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে।
