ইয়ানুর রহমান : শার্শার নাভারনের বুরুজ বাগান হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হলো খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। রোববার দেশী বিদেশী ও জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে জমজমাট এ আয়োজনকে ঘিরে শার্শা,ঝিকরগাছা ও কলারোয়া উপজেলার খেলা প্রিয় মানুষগুলো নাভারনে মেতেছিল উৎসবের আমেজে। আশপাশের গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি উপভোগ করেন। বাদ যাননি শার্শার গণ মানুষের প্রিয় মানুষটি সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন। দর্শকদের সাথে সমগ্র খেলাটি উপভোগ করেছেন তিনি। খেলা শেষে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেন পুরুস্কার। এ সময় লটারিতে বিজয়ীদেরও হাতে তুলে দেন সামগ্রী।
নাভারন হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন । যশোরের শার্শার বেসরকারী সেচ্ছাসেবী সংগঠন ”নাভারন খেলোয়াড় কল্যান সমিতি’র ” ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ১৬ দলীয় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা রোববার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া ”মুকুল স্মৃতি সংঘের’ ফুটবল একাদশ সাতীরার কলারোয়া উপজেলা ফুটবল একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে। গোলটি করেন ৮নং জার্সি পরিহিত নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় বেনজামিন।
”নাভারন খেলোয়াড় কল্যান সমিতি’র” এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস কটা’র সভাপতিতে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথীর বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন । এ সময় তিনি ক্রীড়ামোদী দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন উদ্দেশ্যে বলেন, খেলা মনের খোরাক মেটায়। আর এই মনের খোরাক মেটাতে আপনারা দুর-দুরান্ত থেকে এসেছেন এবং খেলোয়াড়দের উৎসাহ যুগিয়েছেন। আসুন আমরা সকলে নিজেদের সন্তানদের খেলা শেখাতে উৎসাহ যোগাই। এ সময় তিনি ”মুকুল স্মৃতি সংঘ’ ফুটবল একাদশকে একটি টফি ও ৩০হাজার টাকার প্রাইজ মানি এবং বিজিত কলারোয়া উপজেলার ফুটবল একাদশকে একটি ট্রফি ও ২০হাজার টাকা প্রাইজ মানি পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন ।
বিশেষ অতিথীর বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুবুর রহমান, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সাবেক সাধারন সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্য ইব্রাহিম খলিল, শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাধরন সম্পাদক সোহারব হোসেন, শার্শা থানার ওসি আব্দুল জলিল, সাবেক খেলোয়াড় সোহারাব হোসেন মিন্টু।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ২০মিনিটে বিজয়ী দলের পে নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় বেনজামিন একটি গোল করেন। তিনি এ খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন।
বাগআঁচড়া মুকুল স্বৃতি সংঘ ফুট বল একাদশের অধিনায়ক ছিলেন আহসান (১০), সহ অধিনায়ক মিন্টু (৬), অন্যান্য খেলেঅয়াড় বৃন্দ মুন্না (২২), শরিফ ( ২), রানা ( ৪), সবুজ (৩), লিটন রায়(১১), ওলিজ (৯), কামারা ( গিনি জাতীয় দল (৭) ), বেনজামিন ( কেনজামিন (৭) ), ওয়ালি ( (শেখ জামিল, ঢাকা, (১২০) )।
কলোরোয়া ফুটবল একাদশের খেলোয়াড় বৃন্দ কাবিজ ( যাত্রাবাড়ি, ঢাকা (১) ), জাহিদ (প্রান্তিক, ঢাকা (৩) ), সায়েদ আলী ( মহাখালী, ঢাকা (২) ), বাবু ( ওয়ারী (৬) ), রুহুল আমিন ( ডুমুরিয়া, খুলনা ( ৫) ), জাকির ( ফরাশগঞ্জ (৭) ), রিপন ( ডুমুরিয়া, খুলনা ( ১৭) ), আসরাফ ( অগ্রনী ব্যাংক, ঢাকা (১১) ), মাসুদ ( খুলনা (৯) ), সিদ্দিক ( বাড্ডা, ঢাকা (১০) ), বাপ্পি (২২), সাহেব আলী (৪), আরিফ (১৬)।
খেলার দ্বীতিয়ার্ধে বাগআঁচড়া মুকুল স্বৃতি সংঘ ফুট বল একাদশের ৮নং জার্সি পরিহিত বিদেশী খেলোয়াড় বেনজামিন, ৫নং জার্সি পরিহিত (বদলী) খেলোয়াড় বেলালকে খেলার পরিপন্থি কাজ করায় ও কলোরোয়া ফুটবল একাদশের ৫নং জার্সি পরিহিত রেফারী হলুদ কার্ড দেখায়।
ফায়নাল খেলার একমাত্র গোল দাতা বাগআঁচড়া মুকুল স্বৃতি সংঘ ফুট বল একাদশের ৮নং জার্সি পরিহিত বিদেশী খেলোয়াড় বেনজামিন।
খেলাটি পরিচালনা করেন মোস্তফা খোকন, তাকে সহযোগিতা করেন সাইফুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম মিঠু। সার্বিক পরিচালনা করেন রিপন।


