খোরশেদ আলম, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার কাজ। তবে ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। অন্যদিকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জানা যায়, ধানশাইল ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৪ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০টি। ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিয়াজুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম ৭ বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেষের বার জয়লাভ করেন। নির্বাচিত হবার এক বছর পর তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে পড়েন। এর পর থেকেই তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। এ ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনে ৩জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন, শফিকুল ইসলাম (আনারস), আব্দুর রশিদ (তালা) ও সাইফুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)। এদের মধ্যে দলীয় পরিচয়ের দিক থেকে শফিকুল ইসলাম ধানশাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আর আব্দুর রশিদ ধানশাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। সাইফুল ইসলাম অনেকটাই স্বতন্ত্র।
এ ইউনিয়নে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থী সমর্থকদের মাঝে ব্যস্ততা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থী সমর্থকদের পাশাপাশি ভোটারদের চোখে এখন ঘুম নেই। প্রার্থী সমর্থকরা রাতদিন ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারের চায়ের দোকানসহ আড্ডাখানা গুলোতে নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কোন প্রার্থী জেতার সম্ভাবনা কম ও বেশি এ নিয়ে আলোচনার যেন শেষ নেই। আলোচনায় স্থান পাচ্ছে আওয়ামী লীগ বিএনপি দু’প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডহাড্ডি। প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, ইতিপূর্বে এ ইউনিয়নে পাঁচ বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্দীতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে প্রতিবারই তিনি পরাজিত হন। প্রার্থী আব্দুর রশিদ ইতিপূর্বে ২ বার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রচার-প্রচারনা ও গনসংযোগের দিক থেকে শফিকুল ইসলাম এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে, আব্দুর রশিদের অভিযোগ, শফিকুল ইসলাম ক্ষমতাশীন দলের প্রভাবসহ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আসছেন। উভয় প্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। এ নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের বিষয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যেই রয়েছে শংকা।
