ads

বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর ২০১৯ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

যুবলীগের সম্মেলন ২৩ নবেম্বর

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ২১, ২০১৯ ৭:২৫ অপরাহ্ণ

শ্যামালবাংলা ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ সহযোগি সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন ২৩ নবেম্বর শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের যুবলীগ সম্মেলনে নেতৃত্ব বাছাইয়ে বয়সসীমা নির্ধারণ হয়েছে ৫৫ বছর। রাজনীতি অঙ্গনে সবার দৃষ্টি এখন যুবলীগের সম্মেলনের দিকে। সম্প্রতি ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে আলোচনায় রয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটিকে নেতিবাচক ধারা থেকে বের করে ইতিবাচক ধারায় ফিরাতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে একদিকে চলছে শুদ্ধি অভিযান। অন্যদিকে চলছে নতুন নেতৃত্বের খোঁজ। নিজ ঘর থেকেই দেশের রাজনীতিতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২৩ নবেম্বর (শনিবার) যুবলীগের সম্মেলন। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেট, অতিথিসহ প্রায় ৩০ হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। ৩ বছর মেয়াদি ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও ৪ বছর আগে।সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে সাংগঠনিক নেত্রীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দেশনা আসেনি। সম্মেলনের মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
যুবলীগে আগামী দিনের নেতৃত্বে কারা আসছেন তা নিয়ে চলছে সব মহলে নানা আলোচনা। সংগঠনের ভেতরে অনেকেরই নাম আলোচনায় আছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, কারা আসছেন সংগঠনটির এই ক্রান্তিকালের নেতৃত্বে? একাধিক সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের সভাপতি হিসেবে আলোচনায় আছেন- (১) শেখ ফজলে শামস পরশের (২) শেখ ফজলে নূর তাপস (৩)শেখ ফজলে ফাহিম (৪) শেখ ফজলে নাঈম (৫) নজরুল ইসলাম বাবু (৬) বাহদুর বেপারী (৭) মহিউদ্দিন আহমেদ মহি (৮) সুভাষ হালদার (৯) আতাউর রহমান (১০) সুব্রত পাল (১১) সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু (১২) এন আই আহমেদ সৈকত।
ওই বিষয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, যুবলীগ ঢেলে সাজাতে এবার বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন দলটির হাইকমান্ড। মেধাবী প্রতিশ্রুতিশীল বিশ্বস্ত তরুণ নেতারাই এবারের সম্মেলনে নেতৃত্বেও আলোচনায় উঠে এসেছেন। যুবলীগে বয়সের সীমারেখা আরোপের কারণে অনেকেই ছিটকে পড়বেন সম্মেলন থেকে। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়সের এই সীমানা যুবলীগের অতীত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে নতুন দিনের সূচনা করবে বলে জানান তরুণ নেতারা।
যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস উপলক্ষে সংগঠনের নেতারা গণভবনে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি যুবলীগ করার ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখার কথা জানান। ওই বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, যুবলীগের শীর্ষ দুই পদের জন্য আলোচনায় থাকা সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশের বয়স ৫১ বছর, অপর ছেলে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বয়স ৪৯। এছাড়া শেখ সেলিমের ছেলে এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম ও আরেক ছেলে শেখ ফজলে নাঈমের বয়সও ৫৫ বছরের কম।
এছাড়াও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের বয়স ৫৫ বছর। অন্যদের মধ্যে যুবলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বয়স ৫২, সুব্রত পালের ৫০, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলমের ৫০, সভাপতি বাহাদুর বেপারির ৫৩, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুর ৪৮, ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ আলাউল ইসলাম সৈকত ৪০, ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এন আই আহমেদ সৈকতের বয়স ৩৯ বছর। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টুর বয়স ৪৩ বছর।

Shamol Bangla Ads

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনা আছেন-ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহির (৫২), সুব্রত পাল (৫০), সভাপতি বাহাদুর বেপারি (৫৩), ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এন আই আহমেদ সৈকত (৩৯)। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টুও (৪৩) আছেন আলোচনায়।

যুবলীগে আগামী দিনের নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, আলোচনায় যেই থাক সাংগঠনিক নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন। তবে যুবলীগের বর্তমান কমিটি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে ২ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান অনেক নেতাকর্মীই।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!