ads

সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০১৩ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মীর্জা সুলতান রাজা আর নেই

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ১৮, ২০১৩ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ

Mirz-Sultan-Rajaচুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : বর্ষীয়ান নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মীর্জা সুলতান রাজা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল­াহেৃ —- রাজেউন)। রবিবার বিকেলে ঢাকা খিলগাঁওস্থ বাসা থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গার সর্ব মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Shamol Bangla Ads

ঢাকার বাসায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই তাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য ছুটে যান। বাদ মাগরিব খিলগাঁওয়ে প্রথম দফা নামাজে জানাজার পর রাতেই লাশ চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে নেয়া হয়। ১৮ নভেম্বর সোমবার সকাল ৯টায় জীবননগর কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় দর্শনা কেরুজ মাঠে। সেখানে ১০ টায় তৃতীয় দফা জানাজা শেষে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে মরদেহ নেয়া হয়। এখানেই গার্ড অব অনার প্রদানের পর বেলা ১১টায় ৪র্থ দফা জানাজা শেষে চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশেই বর্ষীয়ান এ নেতাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। মৃত্যুকালে মীর্জা সুলতান রাজা স্ত্রী, দু ছেলে ও তিন কন্যাসহ বহুগুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে অসংখ্য ব্যক্তি শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়ার মীর্জা মঞ্জিলের মরহুম মীর্জা ময়েজ উদ্দীন আহম্মেদের বড় ছেলে মীর্জা সুলতান রাজা জাসদ কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালে ১৯৮৩ সালে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

পরিচিতি : চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়ার মীর্জা মঞ্জিলের মরহুম মীর্জা ময়েজ উদ্দীন আহম্মেদের বড় ছেলে মীর্জা সুলতান রাজা ১৯৩৭ সলের ৪ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার গোয়ালহুদা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মীর্জা সুলতান রাজা মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫ ভাইয়ের মধ্যে ৪ ভাইই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মীর্জা সুলতান রাজা বড়। বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর্জা সাঈদ মাহামুদ দ্বিতীয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা সোহরাব মাহমুদ তৃতীয়, মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু ৪র্থ ও মীর্জা শাহাজাহান মাহমুদ ছোট। মীর্জা সুলতান রাজার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশ তথা জাতির জন্য বহু অবদান রেখেছেন।
রাজনৈতিক জীবন : ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে চুয়াডাঙ্গা ভিজে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে অবদান রাখেন। ১৯৫৫ সালে জগন্নাথ কলেজে আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। একই বছরে ৯২এর ক’ ধারা অমান্য করে ২১ ফেব্রয়ারি শহীদ দিবস পালন করেন। মীর্জা সুলতান রাজা ১৯৬৫ সালে পটুয়াখালীর আমতলী থানার ঘূর্ণিঝড়ের পর রিলিফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ফেরেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সংগঠক হিসেবে আতœনিয়োগ করেন। স্বাধীনতার পর মীর্জা সুলতান রাজা শ্রমিকলীগের চুয়াডাঙ্গা শাখা গড়ে তোলেন। কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনীত হন। ১৯৭২ সালে জাসদে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেন। ছয়মাস পর মুক্ত হন। জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন। ১৯৮০ সাল থেকে ৮২ সাল পর্যন্ত গণকণ্ঠের স¤পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে এশিয়া-আফ্রিকা সংহতি পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে রাশিয়া সফর করেন। জাসদ’র কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালে ১৯৮৩ সালে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে ১৫ দলীয় ঐক্যজোটে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হন। জাসদ ভেঙে গেলে তিনি ১৯৯০ সালে জনতা মুক্তিপার্টি সংগঠিত করে সভাপতি হন। ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগে একত্রীভুত হন।

Need Ads

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!