ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে উভয় কলেজের অধ্যক্ষ পর্যায়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে ওই ২ কলেজসহ ধানমণ্ডি এলাকার আরও ৩টি কলেজ মিলে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করবে। ওই সমঝোতা চুক্তি অনুসরণ করলে এই ধরনে সংঘাত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২৩ এপ্রিল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ধানমণ্ডি থানায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতিতে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসময় ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষও উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ২ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের সমঝোতার জন্য আমরা বসেছিলাম। সেখানে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপপ্রাপ্ত) অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এফ এম মোবারক হোসাইনসহ আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এড়াতে তারা নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি করবেন। আজই একটা হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে, সেখানে এই এলাকার দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য ও কলেজের ঊর্ধ্বতনরা আছেন। এখানে সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এই তিন কলেজের সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রব ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজও যুক্ত হবে। আশা করি, এই চুক্তিনামা মেনে চললে সংঘাত হবে না।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষে ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, যারা সংঘর্ষে জড়িত তাদের শনাক্ত করে অভিভাবকদের ডেকে এনে শেষবারের মতো বোঝানো হবে। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সংর্ঘের দিন মামলা অথবা আইনগত বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আপাতত মামলা না, যেহেতু দুই পক্ষই শিক্ষার্থী। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে এটা শেষ করার চেষ্টা করছি।

এর আগে গত মঙ্গলবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় কলেজের শিক্ষার্থী, পথচারী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতপালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের ক্লাস দুই দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন উভয় কলেজের অধ্যক্ষ। অবশেষে এর সাময়িক একটা অবসান হলো।
