শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে গিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের এক সদস্যসহ দুজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) সকালে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বুরুঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- বুরুঙ্গা গ্রামের মৃত কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্য খলিল মিয়া (৩৫) ও কালাপানি গ্রামের আলম মিয়া (৩৭)।
বন বিভাগ, আহত কৃষক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও, বুরুঙ্গা, কালাপানি ও পানিহাটা গ্রামে ভারতের সীমান্তঘেঁষা ২৫০ একর জমিতে দুই শতাধিক কৃষক বোরো ধান আবাদ করেছেন। কিন্তু বুরুঙ্গা, মৌচাক, চৌকিদার টিলা, ডালুকোনা, নাকুগাঁও ও পানিহাটা সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জঙ্গলে দুই সপ্তাহ ধরে শতাধিক বন্য হাতির একটি দল তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্থান করছে। হাতির পাল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসছে। এ সময় খেতের ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে।
পরে শনিবার সকালে পাহাড় থেকে বুরুঙ্গা এলাকায় ৪০-৪৫টি হাতির একটি পাল ধান খেতে নেমে আসে। এ সময় এলাকাবাসী ও বুরুঙ্গা এলাকার এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতির দলকে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে হাতির দল তেড়ে এলে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। এতে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্য খলিল মিয়ার বাঁ পা ভেঙে যায় এবং কৃষক আলম মিয়া কোমরে আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্য খলিল মিয়া বলেন, হাতি আমার দিকে তেড়ে এলে আমি দৌড় দেই। সঙ্গে ছিল কৃষক আলম। আলম কচুরিপানাভর্তি ডোবায় নেমে পড়ে। একটা হাতি শুঁড় দিয়ে আমাকে পেছন থেকে জেরে আঘাত করে। এতে আমি ১০ হাত দূরে খেতে আছড়ে পড়ি। এতে পা ভেঙে যায়। পরে হাতির দল ফিরে যায়।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্য হাতির তাড়া খেয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের এক সদস্যের পা ভেঙে গেছে। আরেকজন সামান্য আহত হয়েছেন। আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আশা করছি তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন।