শ্যামলবাংলা ডেস্ক : পঞ্চম ধাপে ৭৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, সংঘর্ষ ও বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ৩১ মার্চ সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয়েছে গণনা।
এদিকে বিকেল পর্যন্ত ২০ উপজেলায় নির্বাচন বর্জনের ঘটনা ঘটেছে। ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল আর জাল ভোটের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আড়াইহাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার হরতাল ডেকেছে ১৯ দলীয় জোট। আগের মতো এবারের নির্বাচনে সহিংসতা ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে সর্বত্র। বিভিন্ন জেলা থেকে ভোট শুরুর আগে বাক্স ভরে ভোট দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা সকালেই ভোট শুরুর আগেই ৪-৫টি কেন্দ্র দখল করে প্রায় ২৫০০ হাজার ভোট ব্যালট বাক্সে ভরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লক্ষ্মীপুর সদরের দিঘলী ইউনিয়নের উত্তর দুর্গাপুর গ্রামে যুবলীগের একজন নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর রাতে নির্বাচন শুরুর ৪ ঘন্টা আগে কবির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি দিঘলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। কবিরকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর মেয়র আবু তাহেরপুত্র এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপু।
এদিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় প্রায় সব কেন্দ্র দখল, জালভোট ও বিরোধীদের এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে সরকার সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া সব প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোট শুরুর এক ঘন্টার মধ্যে ওই উপজেলা নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলাও বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী সরকার সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সকাল সোয়া ৯টা নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।
৭৩টি উপজেলা নির্বাচনে মোট চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩শ ৬২ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪শ ১৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২শ ৭৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৫শ ৩৪। ভোটার এক কোটি ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ৭শ ৫১। পুরুষ ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ২শ ৬৯ ও নারী ভোটার ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ৪শ ৮২ জন।
