পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এস এস সি পরীক্ষার্থী রামবদক মেদিরাবাদ তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী রাজাপুর উপজেলার হালদার খালী তারাবুনিয়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এর ছোট মেয়ে (১৬) কে অপহরণ করেছে বখাটে ভান্ডারিয়ার মাছ বাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী ফোরকান (২০)।
বিভিন্ন সূত্রমতে জানাযায়, এস এস সি ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় ওই পরীক্ষার্থীকে ভান্ডারিয়া উপজেলার স্থানীয় সিকদার বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় রিক্সার গতি রোধ করে টেনে হিচরে নামিয়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একটি সাদা মাইক্রো গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। সে ভান্ডারিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয় উপ-কেন্দ্রের ৩নং কক্ষের পরীক্ষার্থী। ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠী গ্রামের প্যারালাইস্ট মোকচ্ছেদ আলী বিশ্বাস এর ছেলে ফোরকান তার ৪/৫জন সঙ্গীয়দের নিয়ে এ অপহরণের ঘটনা ঘটায়। এদিকে স্থানীয়রা এ খবর প্রশাসনকে জানালে ঐ সময় ভান্ডারিয়া থানার এস আই নুরুল ইসলাম ও কনেস্টবল মাসুদ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে রিক্সা চালক সোহেল কে আটক করে।
এর রিক্সায় করে সহপাঠী পরীক্ষার্থী খুশি আক্তারের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পথে । অপর পরীক্ষার্থী খুশিকে নার্ভাস অবস্থায় পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। খুশিকে এ ঘটনায় অনেকটা শংকিত দেখা গেছে।
সোহেল জানান, আমি এদের ১১দিনে যাতায়াত বাবদ ৯শত টাকায় পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ে যেতাম। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা।
অপহৃতার স্বজন মাসুম জানান, অপহরনকারী ওই পরীক্ষার্থীর আপন মেঝ বোনের দেবর।সে দীর্ঘ দিন ধরে কু প্রস্তাব দেয়ায় তাতে রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
মেয়ের বড়বোন জান্নাতুল জানান, এ বিষয়ে অপহরন কারি আমার বোনের দেবর হলেও সে বা আমরা কিছুই জানিনা। আমাদের ৩বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে নারগীস আক্তার ছোট বোন।
ভান্ডারিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুবুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে ইতি মধ্যে আইন গত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য ওসি ভান্ডারিয়াকে বলা হয়েছে।
ওসি মতিউর রহমান জানান, রিক্সা চালক সোহেল, অপহরনকারীর মা ও যে অপহরণ হয়েছে তার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে । পরিবারের পক্ষ হতে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি।