ads

বুধবার , ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ডুমুরিয়ার ইটভাটা পল্লীর কোন শিশুই স্কুলে যায় না

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪ ৫:০২ অপরাহ্ণ

11-02-2014-dumuria picশেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া(খুলনা) : দেশের সকল শিশুদের জন্যে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হলেও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ইটভাটা পল্লীর কোন শিশুই স্কুলে যায় না। মফিজ, আলাউদ্দিন, আল-মামুন, মাছুমা, মরিয়ম, সুমন,  রাবেয়াসহ শত শত শিশুরা ভর্তি হলেও তারা স্কুলে না গিয়ে ইটভাটায় দিনমজুরের কাজ করছে। তবে ওইসব শিশুর অভিভাবকদের মধ্যে অনুতপ্তের ছাপ দেখা গেলেও ভাটামালিক ও উপজেলা প্রাথঃ শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যে যেন কোন উদ্যোগই নেই।
দেখা গেছে, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া, শোলগাতিয়া, ভদ্রদিয়া, গুটুদিয়া, শরাফপুর,  সাহস ও কৈয়া এলাকায় শত শত ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এখানে উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের দিন-মজুরেরা নীজ গ্রাম ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইটভাটায় অস্থায়ীভাবে ঘর বেঁধে থেকে শ্রমিকের কাজ করে। ফলে কাজে অংশ নেওয়া ওইসব দরিদ্র মানুষের ছেলে-মেয়েরও তাদের সাথে ভাটায় থাকতে হয়। ইটভাটায় কাজ করা অবস্থায় মফিজ(১০), আলাউদ্দিন(৮), আল-মামুন(৯) জানায়, আমাদের বাড়ি কয়রায়। আব্বা-আম্মা এই ভাটায় কাজ করে। আমরা ছোট বলে ভয়তে থাকতি পারিনে।স্কুলে ভর্তি হইলাম, কিন্ত এখানে আসায় যাওয়া হয় না। পরে ভাটার কাজ শেষ হলে বাড়ি গিয়ে স্কুলে যাও কি’না জানতে চাইলে তারা বলে তখন আর যেতে ইচ্ছা করে না। কারণ ক্লাসের পড়া প্রায় শেষ হয়ে যায়। অন্যদের সাথে তখন আর পড়ে পারা যায় না। কাঁচা ইটের খাড়ি উল্টাতে উল্টাতে তারা আরও বলে স্কুলে যেতে মন চায়। কিন্তু পারি না, তাই আব্বা-আম্মার সাথে ভাটায় কাজ করি। দিনভর ইট উল্টালে ১’শ টাকা আয় হয়। এমনিভাবে ভাটা পল্লীর মেয়ে মরিয়ম(১১), রাবেয়া (১০), মনজিলা(১২), সুরাইয়া(৯), মাছুমাসহ(৭) অনেকেই ওই একই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে জানায়, বাবা- মা সারাদিন ভাটায় কাজ করে, আমরাও তাদের কাজে সাহায্য করি, ঘরের মধ্যে গোছায়,ভাত রান্না করি ও ছোট ভাই-বোনদের দেখি।ইটভাটায় কাজ করতে আসা শ্রমিক বাবলু, ইব্রাহিম, শাহিদা খানম,আঃ জব্বার, রাজ্জাকসহ অনেকেই জানান, গ্রামে এখন তেমন কাজ মেলে না। আর কাজ পেলেও যে টাকা আয় হয় তাতে সংসার চলে না। তাই ভাটায় আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে কাজ করলে একসাথে কিছু টাকা পাওয়া যায়। তবে ছেলে- মেয়ের লেখা-পড়ার কথা বললে অনেকটা অনুতপ্ত হয়েই জানান, আমাদের কিছুই করার নেই। ভাটা মালিক পক্ষের লোকেরা জানান, আমরা ঠিকাদার দিয়ে শ্রমিক ঠিক করি। তাদের সাথে চুক্তির পর লিবারেরা কাজ করে। তবে বাচ্ছাদের কাজের বিষয়ে তারা এড়িয়ে যান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন্ত কুমার পোর্দ্দার জানান, স্কুলে যারা ভর্তি হয় আমরা তাদের খবর রাখি। এখানে কে পড়লো’ কে স্কুলে এলো না, তা সংশ্লিষ্ট স্বুলের শিক্ষকদের দেখার বিষয়।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!