কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া আবাসন প্রকল্পে মাটি ভরাট কাজে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আবাসন প্রকল্প ফেস-২ এর উপ প্রকল্প পরিচালক মো: নুরুন্নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে গত রমজান মাসে উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি দল আবাসন প্রকল্প ঘুরে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। এছাড়া কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন তদন্ত করেও অনিয়মের অভিযোগ পান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া আবাসন প্রকল্পে মাটি ভরাট কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আবাসন প্রকল্প ফেস-২ থেকে ২৯৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। মাটি ভরাট কাজের প্রকল্প সভাপতি (পিআইসি) ছিলেন তালবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মিঠু। ২৯৪ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য ব্যবহারের জন্য তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এ,বি,সি তিনটি ব্লকে কাজ করার জন্য এসব খাদ্য শস্য বরাদ্দ প্রদান করা হয় বলে জানাগেছে।
কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, বরাদ্দকৃত খাদ্য শস্য দিয়ে ‘ এ ও সি’ অংশে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। এ জন্য ব্যায় দেখানো হয় ২২৬ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য। তবে এ দুই অংশের কাজেও চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মিঠু অনিয়ম করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাকি ৬৮ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য দিয়ে কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিপুল পরিমান এ খাদ্য শস্যের প্রায় পুরোটায় পকেটে তোলেন মিঠু। মিঠুর সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্তাব্যক্তিও ভাগ পান বলে জানা গেছে। এদিকে, কাজে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় গত বছরের রজমান মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একজন প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম কাজ দেখতে আসে। তারা তালবাড়িয়া আবাসন প্রকল্প ঘুরে এ ও সি ব্লকে কাজ পেলেও বি ব্লকে কোন মাটি ভরাটের কাজ দেখতে পাননি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন মাপযোগ শেষে ওই টিম একটি প্রতিবেদন দাখিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়, দুটি ব্লকে মাটি ভরাটের কাজ করা হলেও অন্যটিতে কোন কাজ করা হয়নি। যে অংশে কাজ দেখানো হচ্ছে, সেখানে মাটি ভরাটের কোন নমুনা পাওয়া যায়নি। বি ব্লকে বেশ কিছু বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে অনেক আগেই। ৬৮ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য কাজের নামে অপচয় করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এবং এর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়। এদিকে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন তদমত্ম করেও একটি প্রতিবেদন পাঠান প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। সেই প্রতিবেদনেও অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। তদমত্ম শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক অনুরোধ করেন। এদিকে খাদ্য শস্য আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আবাসন প্রকল্প ফেস-২ এর উপ-প্রকল্প পরিচালক মো: নুরুন্নবী চৌধুরী এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নতুন করে মাপ নেন। এ সময় বেশ কয়েকটি অনিয়ম পেয়েছেন তদমত্ম টিম।
পরিদর্শন টিমের প্রধান মো: নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নতুন করে মাপযোগ করেছি। দুইজন প্রকৌশলী ছিলেন আমার সঙ্গে। কিছু অনিয়ম হতে পারে। তবে চুড়ামত্ম প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি ভালভাবে বলতে পারব।

তালবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মিঠুর সঙ্গে কথা হলে বলেন, অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। আমি নিজেই তদমত্ম টিম নিয়ে এসেছি। কাজ সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখছে ঢাকা থেকে আসা তদমত্ম টিমের সদস্যরা।
দৌলতপুর সীমামেত্ম বিজিবি’র পৃথক অভিযানে বিদেশী মদ ও গাঁজা উদ্ধার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমামেত্ম বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমান বিদেশী মদ ও গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দুপুরে মাদক পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে ৩২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ জামালপুর বিওপি’র নায়েক সুবেদার আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে বিজিবি’র টহল দল উপজেলার জামালপুর খড়ের মাঠে অভিযান চালিয়ে ২৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করে। অপরদিকে রোববার উপজেলার ধর্মদহ এলাকা থেকে ধর্মদহ বিওপি’র নায়েক আশরাফের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা ৮ বোতল বিদেশী মদ, উদয়নগর বিওপি’র হাবিলদার শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে টহল দল ডিগ্রীরচর এলাকা হতে ১৪ বোতল বিদেশী মদ, রামকৃষ্ণপুর বিওপি’র হাবিলদার আবুল খায়েরের নেতৃত্বে টহল দল জামালপুর খড়েরমাঠ এলাকা থেকে ১০৪ বোতল বিদেশী মদ এবং মহিষকুন্ডি বিজিবি কোম্পানীর সুবেদার সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি টহল দল মহিষকুন্ডি বাস ষ্ট্যান্ড হতে ০১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। তবে উদ্ধারকৃত মাদক সংশ্লিষ্ট কোন মাদক ব্যবসায়ী বা মাদক পাচারকারী আটক হয়নি।
কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী আয়োজনে ম. মনিরউজজামান স্মরনে সভা
কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে বিশিষ্ট গবেষক ম. মনিরউজজামান স্মরণে সভা ও নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সেমিনার এবং মহরা কক্ষ ম. মনিরউজজামানের নামে নামকরন করার সিদ্ধামত্ম গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল বিকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এ স্মরন সভা ও নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সহ-সভাপতি এম এ কাশেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী সদস্য আশরাফ উদ্দিন নজু ও ম. মনিরউজজামানের সহধর্মিনী আলম আরা জুঁই। স্মরন সভায় নিরবতা পালন করে প্রার্থনা সঙ্গীত পাঠ করেন শিরিন সুলতান এবং শ্রদ্ধাঞ্জলী পাঠ করে আশরান নাহার দীনু। সেমিনার ও মহরা কক্ষ উদ্বোধন করেন আলম আরা জুঁই। উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ সভাপতি এ কাশেম, যুগ্ম-সম্পাদক শাহীন সরকার, নির্বাহী সদস্য আশরাফ উদ্দিন নজু, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত কুষ্টিয়ার সহ সভাপতি খলিলুর রহমান মজু, শিশু নাট্য পরিষদের সভাপতি আবু আকরাম, এস এম টিপু সুলতান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি খোকন সিরাজুল ইসলাম, সুজন রহমান প্রমুখ।




