রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রামগঞ্জ উপজেলায় রিপন হোসেন নামের ২৭ বছর বয়সের এক মানুষিক রোগীর দুই পায়ে শিকল বেঁধে ৫ বছর ধরে নিজ বাড়িতে বন্দী করে গ্রাম্য কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা চালাচ্ছে তার পরিবারের লোকজন ।

জানা গেছে, রামগঞ্জ উপজেলা করপাড়া ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বেপারী বাড়ির রজ্জব আলীর ছেলে রিপন হোসেন ৫ বছর আগে ঢাকার উত্তরায় মুদি ব্যবসা করতেন। হঠাৎ একদিন সে মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে পাগলামী, আবোল-তাবোল, বকাঝকা ও লোকজনকে মারধোর করতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সব দেখে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার হেমায়েতপুরের ইংলিশ কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলে তিনি কিছু ওষুধ দাওয়াই দিয়ে বাড়িতে বন্দী রেখে চিকিৎসা চালাতে পরামর্শ দেন ।
পরে ইংলিশ কবিরাজের কথামত রিপনের দুই পায়ে লোহার শিকল দিয়ে বন্দী রেখে তার বাবা বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চালায়। এ যাবৎ ছেলের চিকিৎসা জন্য সাত লক্ষ টাকা ব্যয় করেও ছেলেকে সুস্থ করতে পারেনি। তিনি ল²ীপুরের মান্দারীর মুকবুল কবিরাজ, নোয়াখালীর চাটখিলের জাইল্যা পাড়ার হিন্দু কবিরাজ, রামগঞ্জের বেড়ীর বাজারের ক্বারী ছাহেব কবিরাজ ও লামচর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মাওলানা আবু ইউছুফ কবিরাজের কাছে বার বার শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিয়েও ছেলেকে সুস্থ করতে পারিনি দিন দিন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ায় তাকে শিকলে বন্দী করে রাখতে হয়েছে ।
