সরদার ওয়াহিদা পারভীন রিভা, ডিমলা (নীলফামারী) : ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা না হলেও রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিয়ে শতরূপা কন্যা কুমারি শৈবালিনী তিস্তার পাশে সারা বছরই ছুটে আসে দুর-দূরান্তের নানা বয়সী অসংখ্য ভ্রমন পিপাসু নারী-পুরুষ।
সিকিমের লাচেন ও লাচুং পার্বত্য স্রোতা ধারায় সৃষ্টি শতরূপা শৈবালিনী তিস্তা অনেকটা প্রকৃতির পাহাড়ী পথ পেড়িয়ে এসে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সুন্দরী ডালিয়ার কোলে শুয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে শিউলি ফুঁটা সুগন্ধি। শতরূপা শৈবালিনীর প্রেমে পড়ে তৎকালিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রূপসী বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুঁটাতেই অপরূপ সুন্দরী ডালিয়ার কুঠিরে ১৯৭৯ সনের ১২ ডিসেম্বর তিস্তা ব্যারাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে শতরূপা কন্যাকুমারি শৈবালিনীর রূপের ইতিহাস গড়ে ছিলেন।
এ ব্যারাজকে ঘিরে কৃত্রিম প্রযুক্তির হাত বদল করে প্রকৃতির নিয়মে ব্যারাজ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে সবুজ অরণ্যের নয়নাভিরাম দৃশ্য আর পাখিদের কলরবে ভরা মনোমূগ্ধকর কোলাহল মুক্ত অপূর্ব পরিবেশ। অবসর নামে একটি আর্ন্তজাতিক মানের লজ ছাড়াও ডালিয়া ও দোয়ানিতে রয়েছে পৃথক দুটি বাংলো। তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রনের উচু কন্ট্রোল টাওয়ার, সুইচ খালের পানি থেকে বালি নিস্কাশনের সিলট্যাপ, নদীর ডান তীর বাধেঁর নির্মিত স্পার, সবুজের হাতছানি, শিহরণ জাগানিয়া বাতাস আর নৈসর্গিক দৃশ্য সব কিছু মিলিয়ে সৌন্দের্যে পরিপূর্ণতায় সুসজ্জিত ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ এলাকাটি ইতোমধ্যে মানুষের মন জয় করে নেয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বছরের প্রায় প্রতিটি দিনই ছুটে আসে নানাবয়সী অসংখ্য ভ্রমন পিপাসু নারী-পুরুষ। তবে এত কিছুর মধ্যেও টয়লেট, পানীয় জল ও ছাউনিসহ আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা না থাকায় ব্যারাজ এলাকায় আসা ভ্রমন পিপাসুদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
ব্যারাজ এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সম্ভবনার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সরজমিনে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের সাথে কথা জানাযায়, ডালিয়া ব্যারাজ এলাকায় পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মত পরিবেশ অনুকুলে রয়েছে। এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে এলাকার অসংখ্য মানুষের আয়-রোজগারের পথ তৈরী হবে। ওই এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মনে করেন, ব্যারাজ এলাকায় পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সরকার প্রতি বছর পেতে পারে বিপুল পরিমান রাজস্ব এবং এর সাথে সৃষ্টি হবে তিস্তা পাড় ও চরাঞ্চলের কর্মহীন মানুষের স্থায়ী কর্মস্থান। এব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মঈনুদ্দিন মন্ডল জানান, ব্যারাজ এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা কর্তৃপক্ষের রয়েছে।