এস.এস আবুল বাশার, মধুখালী (ফরিদপুর) : নবান্ন উৎসব আগমনে ফরিদপুরের মধুখালীতে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি (এনএটিপি)‘র আওতায় রোপা আমন ধানের বীজ উৎপাদনে স্বল্প সময়ে নতুন জাতের বীনা-৭ জাতের প্রদর্শনীর ওপর তৃতীয় (ধান কর্তন) মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর মাঠে এনএটিপির আওতায় সিআইজি সদস্য চাষী মতিয়ার রহমানের জমিতে বীনা-৭ জাতের ধান কর্তন করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের উপ-পরিচালক কৃষি ভাস্বকর চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র ভৌমিক, জেলা শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ ওমর আলী শেখ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জাহিদুল করিম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিরিন শারমিন, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নুর মোহাম্মাদ খান, মো. সাইফুল ইসলাম, কৃষক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
জেলার কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ জানান, বীনা-৭ জাতের ধান এর বিশেষ গুণ হলো ধান আবাদ করলে স্বল্প সময়ে অর্থাৎ ১শ ১০ দিনের মধ্যেই এ জাতের ধান কাটা সম্ভব। এ ধান চাষে ফলন বাড়ানো সম্ভব এবং সাধারণ জাতের ধানের ফলনের চেয়ে অধিক উৎপাদন হয়। লোগো পদ্ধতিতে ৮ ইঞ্চি পর পর ১০ লাইন পর ফাকা রেখে রোপা আমন রোপন করা হয়। বীনা-৭ জাতের আমন প্রতি হেক্টরে শুকনা অবস্থায় ৫ মেট্রিক টন উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু সাধারণ জাতের ধান উৎপাদনে প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৩ মেট্রিক টন থেকে ৪ মেট্রিক টন ধান পাওয়া যায়। চাষীদের বীনা-৭ জাতের ধান আবাদ করতে আগ্রহ বাড়াতে সরকার বিনামূল্যে বীজ প্রদানের আশ্বাস প্রদান করবেন বলে কর্মকর্তাবৃন্দ জানান।