শ্যামলবাংলা ডেস্ক : চাঞ্চল্যকর পিলখানা হত্যামামলায় ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনের মৃত্যূদন্ড হয়েছে। একই মামলায় বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন পিন্টুসহ ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। এছাড়া ২৫৬ জনকে ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো: আখতারুজ্জামান ওই রায় ঘোষণা করেন। ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে বহুল আলোচিত ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে দেওয়া হয়েছে বেকসুর খালাস।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জনকে নৃসংসভাবে হত্যা করা হয়। এ মামলার জীবিত ৮৪৬ জন আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ৮১৩ জনকে সকালেই আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা ১৩ আসামির মধ্যে ১০ জন আদালতে উপস্থিত হন। মামলায় ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। বিচার চলার সময়ে ডিএডি রহিমসহ ৪ আসামির মৃত্যু হয়। রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ওই রায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদন্ডের তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের সামনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম সরদার জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
উলেখ্য, রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ( বিডিআর) পুনর্গঠন করে তার নাম করণ হয বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।