চাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের গুলিতে আহত বাবুল নামে আরও এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশের গুলিতে ৩ যুবদল নেতার মৃত্যু হল। নিহত বাবুল রূপসা ইউনিয়ন যুবদলের ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি। সে গাব্দেরগাঁও গ্রামের আবদুর রহীমের পুত্র।
এর আগে আরিফ হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন নামে দু’যুবদল নেতা মারা যায়। গুলিবিদ্ধ আহত যুবদল নেতা আরিফ হোসেন (২৪) ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জাহাঙ্গীর হোসেন (২৮) চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত আরিফ হোসেন উপজেলার বারপাইকা গ্রামের মো. আবদুল আলীর ছেলে। জাহাঙ্গীর হোসেন পূর্ব গাজীপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি। তার পিতার নাম মৃত আবদুল মতিন।
পুলিশ জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকালে ফরিদগঞ্জ বাজারে অবস্থান নেয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। বিকালে উপজেলা বিএনপি সমাবেশ শেষে মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেওয়ায় শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় বাজারের অন্যপ্রান্তে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ২শ ৪২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ১১ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ২৯ রাউন্ড চায়না পিস্তলের গুলি ছোড়ে। আধঘণ্টার সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অন্তত: ৫০ জন আহত হয়। এতে ৩ যুবদল নেতা মৃত্যু হওয়ায় ফরিদগঞ্জে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার উপজেলা বিএনপি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। রাতে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জি. মমিনুল হক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে শনিবার গায়েবানে জানাযা, কালোব্যাজ ধারণ ও স্মরণসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
