এস, এম, আজিজুল হক, পাবনা : পদ্মার সর্বগ্রাসী ভাঙনে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ঘাট থেকে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরিপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার ১২টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। আরও প্রায় এক হাজার বসতবাড়ি মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে এলাকার জনসাধারণ বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন, ম্লান হয়ে গেছে ঈদের আনন্দ।
ঈশ্বরদী উপজেলার আরামবাড়িয়া, কমরপুর, শেখের চক, মাঝদিয়া, ধাপরিসহ লালপুরের ৫টি গ্রাম পদ্মার ব্যাপক ভাঙনের শিকার হয়েছে। ২০০৯ থেকে অব্যাহত ভাঙনের ফলে সাঁড়া থেকে গৌড়িপুর এলাকার পদ্মা তীরের গ্রামসমূহ বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার উত্তরে যে ভাবে বাঁক নিয়েছে তাতে শতবর্ষের রেল সেতুসহ লালন শাহ সেতু মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। বাড়ি ঘর হারিয়ে হাজারও মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সরকারের কাছে এলাকাবাসী বহু আবেদন-নিবেদন করেছে কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে কোন রকমে পরের জমিতে অথবা দূরবর্তী কোথাও এক চিলতে জমিতে ঘর তুলে বসবাস করছে বাড়ি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। বহু দেন-দরবার তদবিরের পর সরকার ভাঙন রোধে এবং স্থায়ী নদী শাসনের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে ২ শ ৫৬ কোটি টাকা। দীর্ঘ ৪ বছর এলাকার ভূক্তভোগী জনগণের কান্নাকাটির পর সরকার একনেকের সভায় ওই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানান সাঁড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম সরদার। চলতি অর্থ বছর কাজ হবে ১শ ৩৩ কোটি টাকার। ইতোমধ্যেই ১৭ সেপ্টেম্বর ৪০ কোটি টাকার টেন্ডারও আহ্বান করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৭ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মানে সময় লাগবে ৩ বছর। উত্তরাঞ্চলের প্রসিদ্ধ মৃৎশিল্পী এবং গরুর গাড়ির চাকা তৈরির মিস্ত্রীদের বসবাস পদ্মা তীরবর্তী ওইসব গ্রামে। তাদের মধ্যে প্রায় ৩শ পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে নি:স্ব। পূর্ব পুরুষের ভিটে এখন পদ্মার গর্ভে। ফলবান বৃক্ষসহ ফসলি জমি সবই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরামবাড়িয়া গ্রামের মৃৎশিল্পী জগানন্দ পাল বললেন, তার ১০ পুরুষের ভিটে পদ্মার পেটে চলে গেছে। এখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক কোনে কোন রকমে ঝুঁপরি চালা তুলে বসবাস করছি। গ্রামটির মসজিদ, মন্দির সবই পদ্মায় বিলীন হয়েছে। একই অবস্থা ভাঙন কবলিত গ্রামসমূহের। অন্যদিকে যমুনার ভাঙ্গনে বেড়ার রঘুনাথপুর থেকে কাজির হাট পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকায় ৭ গ্রামে ব্যাপকভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে এসব গ্রামের ৭০ টি কাঁচা ঘর ও ৩০ টি দোকান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও সদর উপজেলার রাণীনগর, চরসদিরাজপুর, চরবাঙ্গাবাড়ি, চরভবানিপুর এবং সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া, নাজিরগঞ্জ, বরকাপুর, ত্রিমোহনী এলাকার বিরাট এলাকা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। ওইসব এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, ভোটের সময় সকল জনপ্রতিনিধি সুন্দর সুন্দর কথা বলেন কিন্তু জনগণের দুর্দশার সময় পাশে দাঁড়ান না। নদীভাঙনরোধ ও নদীশাসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারকে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
cÙv-hgybvi Ae¨vnZ fvO‡b cvebvq C‡`i Avb›` ¤vb
Gm, Gg, AvwRRyj nK, cvebv : cÙvi me©MÖvmx fvO‡b cvebvi Ck¦i`x Dc‡Rjvi muvov NvU †_‡K bv‡Uv‡ii jvjcyi Dc‡Rjvi †MŠwicyi ch©š— 6 wK‡jvwgUvi `xN© GjvKvi 12wU MÖv‡gi cÖvq `yB nvRvi evwo Ni wejxb n‡q †M‡Q| AviI cÖvq GK nvRvi emZevwo gvivZ¥K ûgwKi gy‡L i‡q‡Q| fvOb AvZ‡¼ GjvKvi RbmvaviY wewb`ª ivZ KvUv‡”Qb, ¤vb n‡q †M‡Q C‡`i Avb›`|
Ck¦i`x Dc‡Rjvi Avivgevwoqv, Kgicyi, †k‡Li PK, gvSw`qv, avcwimn jvjcy‡ii 5wU MÖvg cÙvi e¨vcK fvO‡bi wkKvi n‡q‡Q| 2009 †_‡K Ae¨vnZ fvO‡bi d‡j muvov †_‡K †MŠwocyi GjvKvi cÙv Zx‡ii MÖvgmg~n wejxb n‡q †M‡Q| cÙv nvwW©Ä weªR †_‡K gvÎ 4 wK‡jvwgUvi Dˇi †h fv‡e euvK wb‡q‡Q Zv‡Z kZe‡l©i †ij †mZzmn jvjb kvn †mZz gvivZ¥K SzuwK‡Z i‡q‡Q| evwo Ni nvwi‡q nvRviI gvbyl gvb‡eZi Rxeb-hvcb Ki‡Q| fvOb cÖwZ‡iv‡ai Rb¨ miKv‡ii Kv‡Q GjvKvevmx eû Av‡e`b-wb‡e`b K‡i‡Q wKš‘ Zv‡Z Kv‡Ri KvR wKQzB n‡”Q bv| mxgvnxb `y`©kvi g‡a¨ †Kvb iK‡g c‡ii Rwg‡Z A_ev `~ieZx© †Kv_vI GK wPj‡Z Rwg‡Z Ni Zz‡j emevm Ki‡Q evwo fvO‡b ¶wZMÖ¯— cwievi¸‡jv| eû †`b-`ievi Z`we‡ii ci miKvi fvOb †iv‡a Ges ¯’vqx b`x kvm‡bi Rb¨ eivÏ w`‡q‡Q 2 k 56 †KvwU UvKv| `xN© 4 eQi GjvKvi f~³‡fvMx RbM‡Yi KvbœvKvwUi ci miKvi GK‡b‡Ki mfvq IB A_© eivÏ w`‡q‡Q e‡j Rvbvb muvov BDwbq‡bi mv‡eK †Pqvig¨vb mvnveyj Avjg mi`vi| PjwZ A_© eQi KvR n‡e 1k 33 †KvwU UvKvi| B‡Zvg‡a¨B 17 †m‡Þ¤^i 40 †KvwU UvKvi †UÛviI AvnŸvb Kiv n‡q‡Q|
cvwb Dbœqb †evW© m~‡Î Rvbv †M‡Q, 7 `kwgK 58 wK‡jvwgUvi cÖwZi¶v euva wbgv©‡b mgq jvM‡e 3 eQi| DËiv‡ji cÖwm× g„rwkíx Ges Mi“i Mvwoi PvKv ˆZwii wg¯¿x‡`i emevm cÙv ZxieZx© IBme MÖv‡g| Zv‡`i g‡a¨ cÖvq 3k cwievi emZevwo nvwi‡q wb:¯^| c~e© cyi“‡li wf‡U GLb cÙvi M‡f©| djevb e„¶mn dmwj Rwg meB b`x‡Z wejxb n‡q †M‡Q| Avivgevwoqv MÖv‡gi g„rwkíx RMvb›` cvj ej‡jb, Zvi 10 cyi“‡li wf‡U cÙvi †c‡U P‡j †M‡Q| GLb eb¨v wbqš¿Y euv‡ai GK †Kv‡b †Kvb iK‡g Suzcwi Pvjv Zz‡j emevm KiwQ| MÖvgwUi gmwR`, gw›`i meB cÙvq wejxb n‡q‡Q| GKB Ae¯’v fvOb KewjZ MÖvgmg~‡ni| Ab¨w`‡K hgybvi fv½‡b †eovi iNybv_cyi †_‡K KvwRi nvU ch©š— cÖvq AvovB wK‡jvwgUvi GjvKvq 7 MÖv‡g e¨vcKfv‡e fv½b ïi“ n‡q‡Q| gvÎ 10 w`‡bi e¨eav‡b Gme MÖv‡gi 70 wU KuvPv Ni I 30 wU †`vKvb b`x M‡f© wejxb n‡q †M‡Q| GQvovI m`i Dc‡Rjvi ivYxbMi, Pimw`ivRcyi, Piev½vevwo, Pifevwbcyi Ges myRvbMi Dc‡Rjvi mvZevwoqv, bvwRiMÄ, eiKvcyi, w·gvnbx GjvKvi weivU GjvKv cÙvi M‡f© wejxb n‡q hvIqvi c‡_| IBme GjvKvi fvOb cÖwZ‡iv‡a miKvi †_‡K A_© eivÏ cvIqv hv‡e e‡j cvwb Dbœqb †ev‡W©i GKwU m~Î Rvwb‡q‡Q|
GjvKvevmx ¶zä cÖwZwµqv e¨³ K‡i Rvbvb, †fv‡Ui mgq mKj RbcÖwZwbwa my›`i my›`i K_v e‡jb wKš‘ RbM‡Yi `y`©kvi mgq cv‡k `uvovb bv| b`xfvOb‡iva I b`xkvm‡bi Rb¨ `ª“Z e¨e¯’v MÖn‡Y miKvi‡K †Rvi `vwe Rvwb‡q‡Qb GjvKvevmx|
