স্টাফ রিপোর্টার :‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যূর ঝুকি কমান’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ উপলে ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শেরপুর সিভিলসার্জনএর সম্মেলন কে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন অফিস এর আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: আসম আব্দুস সামাদ।
বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব এবং অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করার ল্েয আগামী ৫ অক্টোবর সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৩ পালিত হবে।

ঐ দিন সারাদেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আই.ইউ.) এবং ১-৫ বছর বয়সি শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (দুই লাখ আই.ইউ.) খাওয়ানো হবে এবং জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য সকলকে বলা হবে।
ক্যাম্পেইনে শেরপুর জেলায় মোট টিকাদানকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩শ ৩৪ টি। টিকা খাওয়ানো শিশুর ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬-১১ মাসের শিশু ১ ল ৯হাজার ২শ ৭৩ জন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অবশ্যই মাঠকর্মী/এনজিও কর্মী দ্বারা খাওয়াতে হবে। কান্নারত অবস্থায় কিংবা জোর করে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভেতরের তরল ভিটামিন ‘এ’ শিশুকে খাওয়াতে হবে। কোন অবস্থায় শিশুকে আস্ত বা গোটা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়নো যাবে না। সবগুলো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল একসাথে কেটে রাখা যাবে না। প্রতিটি শিশুকে খাওয়ানোর আগে ১টি করে ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরের তরল ভিটামিন সঙ্গে সঙ্গে খাইয়ে দিতে হবে।
