ads

রবিবার , ২৫ আগস্ট ২০১৩ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

পাবনা মেডিকেল হাসপাতালে কোটি টাকার ৩টি এক্স-রে মেশিন দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
আগস্ট ২৫, ২০১৩ ১১:৩০ অপরাহ্ণ

X-Rayপাবনা প্রতিনিধি ঃ পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন দীর্ঘ ২ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে শত শত রোগীদের রোগ নির্নয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও আলট্রাসোনগ্রাফি থাকলেও টেকনিশিয়ান  না থাকার কারণে এ বিভাগও বন্ধ রয়েছে। এতে সুযোগ নিয়েছে হাসপাতালের আশপাশের ডায়াগনোস্টিক সেন্টার সমূহ।
প্রতিদিন গড়ে ভর্তি ও বহিঃ বিভাগে আসা সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে এসে রোগ নির্নয়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে গিয়ে অর্থদন্ড ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। হাসপাতালের এই বিপুল অংকের টাকা মূল্যমানের এক্স-রে মেশিনবন্ধ থাকা এবং আলট্রাসোনগ্রাফী বিভাগে টেকনিশিয়ান না থাকার জন্য রোগীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলেও ডাক্তাররা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন।
এদিকে ৩৫০ শয্যার এই হাসপাতালে সীট সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি করা হলেও সীমাহীন অব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে ভর্তি রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রেডিও গ্রাফী সামসুজ্জামান জানান, জাপান থেকে আমদানী করা ৭০ লাখ টাকা মূল্যের জিইসি ৫০০ এমএ এক্স-রে ১টি, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানী করা ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ট্যানোসমেট ৩০০ এমএ এক্স-রে, ও অপর ১ টি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের বাবেল ৩০০ এম এ এক্স-রে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে সামান্য ত্র“টির কারণে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এ তিনটি এক্স-রে মেশিন বন্ধ থাকায় ছোট বড় সব রকম এক্স-রে করা বন্ধ রয়েছে। তবে ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ডের এলাঞ্জার ৫০ এমএ একটি এক্স-রে মেশিন চালু রয়েছে, যা দিয়ে ছোট খাটো কাজ কোনমত চলানো হচ্ছে। তিনি বলেন ওই ৩টি বন্ধ থাকা এক্স-রে মেশিন মেরামতের জন্য একাধীকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত ভাবে পত্র পেরণ করা হলেও তার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত যে টেকনিশিয়ান রয়েছে তারা মেশিন গুলো মেরামত করতে এসে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেন। তিনি বলেন কোম্পানি থেকে টেকনিশিয়ান এনে মেশিন গুলো মেরামত করা সম্ভব হলেও মোটা অংকের টাকা ব্যয় হবে। সংগত কারণেই এ উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালের বহিঃ বিভাগ ও জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় দু’শ রোগী ভর্তি হচ্ছে, তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে যে জনবল ও ডাক্তার প্রয়োজন তা নেই। পোস্ট খালি আছে অথচ লোক নেই অবস্থায় হাসপাতাল চলছে। বহিঃ বিভাগ জানায় প্রতিদিন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় এক সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। এই বিপুল সংখ্যক রোগী পাবনাসহ আশপাশের জেলা থেকে আসেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!