স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের তুড়া রাজ্যের চিচিংপাড়া গ্রামে অনুপ্রবেশকালে চোর সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে ২ বাংলাদেশী আদিবাসী যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় শেরপুর সীমান্তের নকসী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেইসাথে ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তপল্লীগুলোতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি-বিএসএফের মাঝে দ্বিতীয় দফায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি ২৭ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জাবেদ সুলতান ও ভারতের পক্ষে বিএসএফ কমানডেন্ট টিএলএস রেড্রি’র নেতৃত্বে উভয় দেশের সীমান্ত পথে চোরাচালান ও পাচাররোধ, উদ্ভূত পরিস্থিতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নকসী ক্যাম্প সংলগ্ন নো ম্যানস ল্যান্ডে ওই বৈঠক চলাকালে মাজহারুল ইসলাম (৪৫) নামে বিজিবির এক ল্যান্সনায়েক আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানেই মারা যান। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিকেলে ময়মনসিংহ বিজিবি ২৭ ব্যাটালিয়ান মাঠে নামাজে জানাযা শেষে মাজহারুল ইসলামের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি-২৭, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ও উপ-অধিনায়ক মেজর মো: আমজাদ হোসেন সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্বিতীয় দফায় পতাকা বৈঠক ও বৈঠক চলাকালে বিজিবির এক সদস্যের মৃত্যু সত্যতা নিশ্চিত করেছেন
