শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরসভার গোবিন্দনগর ছয়আনীপাড়া এলাকায় চলাচলের একমাত্র রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ৩০টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খরস্রোতা ভোগাই নদীর পশ্চিম পাড় ঘেঁষে ওই কাঁচা রাস্তা দিয়ে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হাট, স্কুল–কলেজ, মাদরাসা ও পৌর শহরে যাতায়াত করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি রাস্তার পাশের বাসিন্দা আব্দুল মতিন ও জুয়েল মিয়া জায়গাটি নিজেদের মালিকানাধীন দাবি করে টিনের বেড়া তুলে দেন। এতে শিক্ষার্থী, কৃষকসহ এলাকাবাসীর চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার মাঝখানে টিনের দেয়াল তুলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঘর নির্মাণের জন্য খুঁটিও পুঁতে রাখা হয়েছে। এলাকার ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা স্থানীয় গোবিন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসায় যেতে না পেরে ফিরে আসছে।

গোবিন্দনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে রাস্তা বন্ধ। তাই আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। রাস্তাটা খুলে দেওয়া হোক।’
স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত আলী বলেন, জন্মের পর থেকেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। কোন কারণ ছাড়াই এভাবে রাস্তায় বেড়া দেওয়ায় আমরা খুব ভোগান্তিতে পড়ে গেছি। দ্রুত এই বেয়ারা খুলে দেওয়ার দাবি জানাই।
মাদরাসার পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘টিনের বেড়ার কারণে আমাদের দেড়শো ছাত্র মাদরাসায় আসতে পারছে না। এমনকি মতিন ও জুয়েল রাস্তা দিয়ে না যেতে হুমকিও দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া বলেন, ‘রাস্তার জায়গাটি আমাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন। আদালতের রায় নিয়ে আমরা দেয়াল তুলেছি। এতে কোনো অন্যায় করিনি।’
জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘মানুষ যে রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন চলাচল করে আসছে, তা কেউ বন্ধ করতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

