ads

রবিবার , ২৫ জুলাই ২০২১ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮৩ তম জন্মদিন আজ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ২৫, ২০২১ ১:১০ অপরাহ্ণ

তিনি আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর। কেউ বলেন একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮৩ তম জন্মদিন আজ। ১৯৩৯ সালের ২৫ জুলাই কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

Shamol Bangla Ads

সমালোচক এবং সুবক্তা এই মহৎপ্রাণ মানুষটির জীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। যা চল্লিশ বছরেরও বেশি ধরে ‘আলোকিত মানুষ’ তৈরি করে যাচ্ছে। কেন্দ্রটির জন্ম ১৯৭৮ সালে। প্রথমদিকে তার তত্ত্বাবধানে মাত্র পঁচিশ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী বিশ্বের মহান সাহিত্যকর্মগুলো পাঠ ও তার ওপর আলোচনা করা শুরু করে। ধীরে ধীরে এই পাঠচক্রে স্কুল-কলেজ ও সাধারণ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই পাঠচক্রগুলোতে বাংলা ও বিশ্ব সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ বইগুলোর পঠন এবং সেগুলোর ওপর প্রাণবন্ত আলোচনা করা হয়। বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলো প্রায় সারা দেশজুড়ে বিস্তৃত। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’র একটি চমক হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি।

২০০৪ সালে তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য ২০০৫ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। ২০১২ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আবদুল্লাহ্ আবু সায়ীদ খুব অল্প বয়সে মাকে হারান। তিনি ছিলেন ভাইবোনদের মধ্যে তৃতীয়। আবদুল্লাহ্ আবু সায়ীদের জীবনে তার পিতার প্রভাব সুস্পষ্ট। অধ্যাপনা করেছেন তিনি তিরিশ বছর-১৯৬২ সাল থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত।

Shamol Bangla Ads

শিক্ষকতা জীবনও খুবই বর্ণাঢ্য তার। বাইশ বছর বয়সে ১৯৬১ সালে প্রথম শিক্ষকতায় যোগদান করেন মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে। তখন বয়স । ওই সময়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন তার বাবা আযীমউদ্দীন আহমদ। ছেলে একই কলেজে যোগ দিলে তার জন্য প্রশাসনিক অস্বস্তির কারণ হবে মনে করে তিনি কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভায় আপত্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল ভাল থাকায় কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে কলেজের খন্ডকালীন প্রভাষক হিসাবে তাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। গভর্নিং বডির সচিব হিসাবে তার বাবাকেই তার নিয়োগপত্র পাঠাতে হয়েছিল। সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্তটি জমে উঠেছিল কলেজে তার যোগদানের প্রথম দিনটিতে।

সেই দিনের ঘটনা বর্ণনা করলেন তিনি এভাবে, ‘প্রথম ক্লাশে ছাত্রদের সঙ্গে নতুন শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দেবার দায়িত্ব অধ্যক্ষই পালন করতেন এটাই ছিল নিয়ম। আমার ব্যাপারেও আব্বাকেও তাই করতে হলো। রুটিন মাফিক আব্বার পেছনে পেছনে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির একটি শাখায় গিয়ে হাজির হলাম। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তার সংক্ষিপ্ত ইংরেজি ভাষণে আব্বা আমার একটা ছোটখাট পরিচয় তুলে ধরে সব শেষে বললেন, যেহেতু ওর শরীরে শিক্ষকের রক্ত আছে আমার মনে হয় ও ভাল শিক্ষকই হবে। আমার ধারণা ছিল, আমার নিয়োগের দ্বন্দ্বে পরাজয়ের ফলে উনি ভেতরে ভেতরে কিছুটা তেতে আছেন। হয়ত তার সেদিনের বক্তব্যে সেই ক্রোধের কিছু প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু ঘটনা হলো ঠিক উল্টো। বক্তৃতার সময় আব্বার গলা কিছুটা ধরেই এল। মনে হল তার উত্তরসূরির আসনে নিজ হাতে আমাকে বসিয়ে যেতে পেরে তিনি যেন ভেতরে ভেতরে গর্বিত এবং পরিতৃপ্ত।’ এরপর সিলেট মহিলা কলেজে যোগ দেন । সেই সময় মহিলা কলেজে ঢোকা তরুণ অধ্যাপকের জন্য সহজ ছিল না। কারণ তখন সিলেটের সমাজ খুবই রক্ষণশীল । এখানে তিনি বেশিদিন ছিলেন না। এরপর রাজশাহী কলেজে। পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি যোগ দেন ঢাকার ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে। একই সময় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগেও তিনি খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে বাংলা পড়িয়েছেন। ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ঢাকা কলেজে। এখানের শিক্ষকতা জীবন তিনি খুব উপভোগ করতেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ঢাকা কলেজ ছেড়ে তিনি যাননি৷ মানুষ গড়ার কারিগরের জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!