রামগঞ্জ(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রামগঞ্জ থানা ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন রামগঞ্জ উপজেলাকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও পৌর এলাকাকে জুয়া মুক্ত ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি তিনি পৃথক পৃথক ভাবে স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে রামগঞ্জের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মতবিনিময় বৈঠক করে এসব ঘোষণা করেন। ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন রামগঞ্জ থানায় দায়িত্ব নেয়ার পর সুনির্দিষ্ট কলা-কৌশল ও সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার কারণে রামগঞ্জ হয়ে উঠে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভয়-ভীতি মুক্ত। তিনি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থানা পুলিশদেরকে দিনরাত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহলে রাখায় রামগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা আগের তুলনায় অনেক উন্নতি হয়েছে।

জানা গেছে, মোহাম্মদ লোকমান হোসেন চলতি ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর গত ৪ মাস চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন-খারাবি, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা অনেক কমে এসেছে। তিনি সাহসিকতার মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫টি অস্ত্র ও ১৯ রাউন্ড গুলি সহ লক্ষ লক্ষ টাকার দেশী-বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলার পলাতক দাগী আসামীকে গ্রেফতার করে সাফল্য অর্জন করেন।
রামগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। রামগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যতদিন কর্মরত আছি, ততদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও সস্তিতে থাকতে পারে। আমি মানবতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে সকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। কেউ যদি রামগঞ্জের কোথাও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই করে ও জুয়া খেলে থানা পুলিশকে জানালে তথ্য দাতার পরিচয় গোপন রেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইলে প্রেম করে দেড় মাসের শিশুকে ফেলে অন্যের হাত ধরে পালিয়েছে পাষন্ড মা

রামগঞ্জ উপজেলার পৌর নন্দনপুর গ্রামের উমেদ আলী ভুইঁয়া বাড়ির মামুনের স্ত্রী শারমিন আক্তার মোবাইলে প্রেম করে দেড় মাসের দুধের শিশুকে রেখে অন্যের হাত ধরে পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান দুই অবুঝ শিশুকে নিয়ে মোঃ মামুন বিপাকে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, নন্দনপুর উমেদ আলী ভূইঁয়া বাড়ীর খোরশেদ আলমের ছেলে মামুনের সাথে পাশ্ববর্তী চাটখিল উপজেলার বদলকোট গাজী বাড়ির মৃত শেখ আলমের মেয়ে নার্গিস আক্তার শারমিনের সাথে ৮ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে শারমিন মোবাইলে বিভিন্ন পুরুষের সাথে কথা বলে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। পরকীয়ার জেরে শারমিন ৩ বার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার সালিশ ও এনজিও কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হলে শারমিন আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। শনিবার মোবাইলে প্রেমের সূত্র ধরে সকালে রামগঞ্জে আসার কথা বলে শারমিন আক্তার তার দেড় মাসের শিশু বাচ্চাকে রেখে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শারমিনের স্বামী মোঃ মামুন হোসেন রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে।
