আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলীতে ধান ক্রয়ে ফরিয়া ও আড়ৎ মালিকরা সিন্ডিকেট করে ৪০ কেজিতে এক মনের পরিবর্তে ৪৮ কেজি ধার্য করে ধান ক্রয়ের কারনে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছেন এবং পুরো বাজার এখন তারাই নিয়ন্ত্রন করছেন। ফলে উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পরেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় অর্ধশতাধিক ধান ক্রয়ের আড়ৎ এবং কয়েকশ’ফড়িয়া রয়েছে। এরা মৌসুম ভিত্তিক ধান, ডাল, বাদাম, মরিচ সহ অন্যান্য ভূষামাল ক্রয় করে থাকেন। আড়ৎ মালিক সমিতির অধীনে এদের রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। বিভিন্ন ফসলের সময় এরা সিন্ডিকেট করে ফসলের দাম কমিয়ে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কম মূল্যে তাদের নিকট বিক্রি করতে বাধ্য করেন। বর্তমান বাজারে প্রতি মন (৪০) কেজির ধান ৭শ’ টাকা থাকলেও তারা ৪৮ কেজিতে এক মন কিনছেন ৭শ’ টাকায়। এতে কৃষকরা প্রতি মন ধানে ১শ’ টাকা করে ঠকছেন। বর্তমানে উপকূলীয় এলাকায় ধানের মৌসুম শুরু হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বাজারে এনেই প্রতারিত হচ্ছেন ফরিয়া এবং আড়ৎ মালিকের নিকট থেকে। ফরিয়া এবং আড়ৎদারৎ মালিকরা তাদের নিজেদের ইচ্ছা মত সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৪৮ কেজিতে এক মন ধানের পরিমান নির্ধারন করে কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করছেন। এ পরিমান ধান কেউ দিতে না চাইলে ফরিয়া এবং আড়ৎ মালিকরা কৃষকদের নিকট থেকে কেউ ধান কিনছেন না। কুকুয়ার কৃষক রমজান আলী জানান, এক মন ধানে ৪৮ কেজি দিতে না চাইলে কেউ ধান কিনতে চায় না। ধান বিক্রি না করে উপায় নেই বাড়ি নিতে হলে আবার পরিবহন খরচ লাগবে বিক্রি করতে না পারলে এ টাকা পাবো কোথায় বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ৪৮ কেজিতে মন বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আঙ্গুলকাটা গ্রামের দরিদ্র কৃষক জাকির হোসেন জানান, ৪৮ কেজির এক মন ধান ৭শ’ টাকায় বিক্রি করে উৎপাদন খরচও পাওয়া যাচ্ছে না। আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি মো: রত্তন ৪৮ কেজিতে ১মন ধান ক্রয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, এ কারনে কৃষদের আমরা দাম বেশী দিচ্ছি। বুধবার সকালে আমতলীর ধানের হাটে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পেরে অসহায়ের মত দাড়িয়ে রয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: আবদুল্লাহ বলেন, ৪০ কেজির পরিবর্তে কেই যদি কৃষকদের ৪৮ কেজিতে ধান বিক্রি করতে বাধ্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
