ads

বুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০১৩ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বরগুনায় এনজিওর অন্তরালে চলছে প্রতারনা : গ্রাহকের বিশ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও রুপালী বাংলা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ১৩, ২০১৩ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
বরগুনায় এনজিওর অন্তরালে চলছে প্রতারনা : গ্রাহকের বিশ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও রুপালী বাংলা

মো.মহসিন মাতুব্বর আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি ঃ উপকূলীয় এলাকা তালতলীতে একদল প্রতারক চক্র এনজিওর অন্তরালে গ্রামের অসহায় দুস্থ্য পরিবারগুলোর কাছ থেকে ত্রান ও সাহায্য দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা।
অসহায় এসব পরিবারগুলো জানেনা  এরা একদল প্রতারক চক্র। এসব ভূয়া এনজিও ব্যাবস্থাপক ও কর্মীরা স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান ও মেম্বারদের ম্যানেজ করে এলাকায় ঢুকে এসব হতদরিদ্র স্বহায় সম্বলহীন অসহায় দুঃস্থ্য পরিবারগুলোর সর্বনাশ করছে এ চক্রটি।
যখন এসব ভূয়া এনজিও গরীবদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় তখন অসহায় এসব পরিবারগুলো  ইউপি পরিষদের সংশ্লিষ্ট সদস্যদের শরনাপন্য হলে ইউপি সদস্যরা কিছু জানেনা বলে তাদের তাড়িয়ে দেয়।
এমনি এক অমানবিক ঘটনা ঘটেছে সিডর বিধ্বস্থ জেলা বরগুনার তালতলীর তাতেপাড়ায়। কয়েকমাস আগে তালতলী তাতেপাড়া এলাকায় রুপালী বাংলা ্এ্যাডুকেশন অব দি নলেজ নামে একটি এনজিও সংস্থা চালু হয়।
এরা এলাকায় নেমে শুরু করেন অসহায়দের নামের তালিকা সংগ্রহে। এসব এনজিও কর্মীদের খাতায় নাম লেখানোর জন্য ভির জমায় এলাকার সাধারন মানুষ।
তখনই তাদের শুরু হয় প্রতারনার ফাঁদ। ত্রান দেয়ার নাম করে স্থানীয়দের কাছ থেকে সঞ্চয় বাবদ ১০০ থেকে ২০০শত টাকা জমা নিতে  শুরু করেন এই এনজিও কর্মীরা । এভাবে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় এলাকার সহস্রাধীক নারী পুরুষদের কাছ থেকে এই চক্রটি। এ ঘটনা ঘটার দুএকদিন পরই তারা অফিস তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় ।
ভুক্তভোগী এসব অসহায় নারী পুরুষরা খোঁজ করতে থাকে এ এনজিও কর্মীদের। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এনজিওর নামদিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে এ টাকা। জানাগেছে এসব অসহায় গরীব পরিবার গুলোর এ সর্বনাশটি করেছে  অত্র এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবার।
আর এ পরিবারটি হল তাতেপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলী খানের তিন পুত্র।এরা হলেন,সোলায়মান,শাকিল খান,বাদল খান ও তার বোন জাকিয়া বেগম এবং একই গ্রামের বেলায়েত খান এর মেয়ে শিমু আক্তার।
কেন তারা টাকা দিয়েছে জানতে চাইলে  মোয়াপাড়া গ্রামের সত্তরুউর্দ্ধ বয়সী আঃ মজিদ আকন বলেন, তাদের প্রতি মাসে ৩০ কেজি গম, বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ, গরিব মেয়েদের বিয়ের খরচ এবং শিশু জন্মের পর থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মাসে ৩০ কেজি গম/চাল খাবার দেয়ার লোভ দেখিয়ে সংস্থাটির পরিচালক অর্থ আদায় করে নেয়।
তিনি আরো বলেন আমরাতো জানতামনা আমাদের এলাকার এই লোকগুলো প্রতারনা করবে তাই বিশ্বাস করে ওদেরকে  ৫টি নামে ১০০০ হাজার টাকা দিয়েছি।
তাতেপাড়া গ্রামের পিয়ারা বেগম বলেন,আমার বাচ্চার স্কুলের খরচ দিবে বলে আমাকে ভুল বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে সঞ্চয় বাবদ দুইশত টাকা নিয়েছে সংস্থার পরিচালক সোলায়মান।
এভাবে একই কথা জানান,ঐএলাকার শতশত মানুষ। সাংবাদিকদের দেখে তারা বিচারের জন্য ভির জমায় ।
সরজমিনে গেলে সংস্থাটির স্থানীয় মাঠ কর্মী সিমু বেগম সাংবাদিকদের  জানান,এ সংস্থার ব্যাবস্থাপক সোলায়মান আমাকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দিয়েছে। এ নিয়োগ অনুযায়ী অক্টোবর মাসে আমার বেতন টাকাও পরিশোধ করেছে ।
সাধারন মানুষদের কাছ থেকে টাকা উঠানোর ব্যাপারে সিমু আক্তার বলেন,টাকা উঠিয়ে আমি সংস্থার ব্যাবস্থাপক সোলায়মানের কাছে প্রতিদিন জমা দিয়েছি।
সংস্থার ব্যাবস্থাপক,সোলায়মান বর্তমানে পলাতক রয়েছে তার মোবাইল(০১৭৭৪১১৬৭১১)ফোনে বার বার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সোলায়মানের বড় ভাই বাদল খান জানান, নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী  আমাদেরকে বলেছে গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সোলায়মানকে খুজে পাইলে আমরা টাকা ফিরিয়ে দিবো ।এ ব্যাপারে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী বলেন, আমার কাছে এলাকার লোকজন অভিযোগ দিয়েছে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি এনজিওর নাম দিয়ে এ চক্রটি সাধারন মানুষের টাকা নিয়ে তাদের সাথে প্রতারনা করেছে। আমি ওদেরকে বলেদিয়েছি জায়গা জমি বিক্রি করে হলেও সাধারন মানুষের টাকা ফিরায়ে দিতে।এ ব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মিজানুর রহমান জানান, আমার কাছে এখনও কেহ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!