মাহফুজার রহমান মনু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাছ চাষ করে অনেকে স্বচছলতা ফিরে পেয়েছে। এতে অনেকেই এখন মাছ চাষকে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউপি’র বোতলারপাড় গ্রামের সেকেন্দার আলী, শান্তি নগর এলাকার ইছাহাক আলী, চাকিরপশার ইউপি’র তালুক গ্রামের বক্কর মিয়া এখন মাছচাষে স্বাবলম্বীতার মডেল। এবিষয়ে সেকেন্দার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাজারহাট উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে ট্রেনিং নিয়ে তিনি মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েন। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। প্রথমে স্বল্প প্রজাতির মাছ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, পরে ধীরে ধীরে মাছ বিক্রি করে স্বচ্ছলতায় ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি ৩শ’ বিঘার ৪টি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করে আসছেন। ওই এলাকায় সেকেন্দার আলীর মতো আরও অনেকে মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েছে। ইছাহাকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে নিয়ে ৭ সদস্যের পরিবার অতিকষ্টে জীবন যাপন করেছি। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে সংসারে অনেকটা স্বচ্ছলত ফিরে এসেছে। এখন আর আগের মতো কষ্ট করতে হয় না। তিনি আরও জানান, রাজারহাট উপজেলায় প্রায় ২শত পরিবার মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত। যদি মৎস্য বিভাগ থেকে ব্যাপক ঋণের ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে আরও অনেকে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতো।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, রাজারহাট উপজেলায় মাছ চাষের প্রায় ২শত চাষীর নামের তালিকা আমাদের কাছে আছে। এর মধ্যে অনেকেই ঋণ গ্রহণ করেছেন। যারা ঋণ পায়নি আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের জন্যও পর্যায়ক্রমে ঋণের ব্যবস্থা করবো।
