শ্যামলবাংলা স্পোর্টস : দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে জ্বলে উঠলেন নেইমার ও অ্যালেঙ্সি সানচেজ। আর তাতেই রিয়াল ভায়াদলিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৫ অক্টোবর শনিবার রাতে নিজেদের মাঠ ন্যু-ক্যাম্পে এবারের লা লিগার শুরু থেকে টানা আটবারের মত অপরাজিত থাকল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে ম্যাচের ১০ মিনিটে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল ভায়াদলিদ। ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যেই ৩টি কর্ণার আদায় করলেও তা থেকে গোল পায়নি স্বাগতিকরা। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে কর্ণার থেকেই গোল করেন ভায়াদলিদের হাভি গেররা। অবশ্য তার ঠিক ৪ মিনিট পরেই পেনাল্টি এলাকার ঠিক বাইরে থেকে জোড়ালো শটে সমতা ফেরান বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড অ্যালেঙ্সি সানচেজ। প্রথমার্ধের ২৬ মিনিটে নেইমারের গোলের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের কিছুটা নিষ্প্রভ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠে বার্সেলোনা। বিরতির ৭ মিনিট পরই বার্সাকে এগিয়ে দেন জাভি। প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে নেইমার বল বাড়ান তরুণ ক্রিস্তিয়ান তেয়োকে। তার পাস থেকে পা লাগিয়ে বল জালে পাঠান জাভি। ৬৩ মিনিটে তেয়োর দূর থেকে নেয়া বাকানো শট ক্রসবারে লাগে। চোটগ্রস্ত মেসির অনুপস্থিতিতে এ ম্যাচে নেইমারকে সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলান কোচ। আর এ পজিশনে দারুণ নৈপুণ্য দেখান নেইমার। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে তার বাড়িয়ে দেয়া বল থেকেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সানচেজ। নেইমারকে এর প্রতিদান দিতে ভুল করেননি চিলির ফরোয়ার্ড জাভি। ৬ মিনিট পরই গোলে শট না নিয়ে পেনাল্টি বঙ্রে মধ্যে বলটি বাড়িয়ে দেন নেইমারের দিকে, যা জালে জড়াতে ভুল করেননি ব্রাজিলের এই তারকা।
ম্যাচের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নেইমারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বার্সেলোনা কোচ মার্তিনো, ‘নেইমার ডানে, বাঁয়ে ও মাঝে সমান ভালো। এতেই বোঝা যায়, সে কত ভালো মানের খেলোয়াড়। নেইমারের এই মানিয়ে নিতে পারাটা তার জন্য বড় ধরনের উন্নতি।’
