শ্যামলবাংলা ডেস্ক : মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে নতুন করে দাঙ্গায় এক মুসলিম বৃদ্ধা মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ১ অক্টোবর মঙ্গলবারের ওই দাঙ্গায় জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে প্রকাশ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন যখন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ওই এলাকা সফরে রয়েছেন তখন এ দাঙ্গা দেখা দিল।

এক সপ্তাহ আগে একটি মুসলমান বাড়ির কাছে গাড়ি পার্ক করাকে কেন্দ্র করে এ দাঙ্গার সূচনা হয়। উগ্রবাদী বৌদ্ধরা ওই এলাকার মুসলমানদের ঘর-বাড়িতে আগুন দেয়। এদিকে, প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন রাখাইন প্রদেশের মুসলমান অধ্যুষিত অন্য একটি এলাকায় দু’দিনের সফর শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট থেইন এই প্রথম দাঙ্গা বিধ্বস্ত এ এলাকা সফরের সময় বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
উলেখ্য, গত দু’বছর ধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান ও বৌদ্ধ দাঙ্গায় এ পর্যন্ত কয়েক হাজার নিহত এবং বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমারে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু মিয়ানমারের ঘটনাবলীর ওপর তা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
মিয়নমারের ছয় কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা মাত্র চার শতাংশ এবং বহু বছর ধরে তারা সেখানে বসবাস করে আসছে। সা¤প্রতিক ওই হামলার মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানরা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে।
