১৭২ মণ্ডপে সাড়ম্ভরে পূজা
শেরপুরে জমে উঠেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি মণ্ডপে মণ্ডপে পূণ্যার্থী-ভক্তদের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে সাধারণ দর্শনার্থীর ভিড়। ১ অক্টোবর বুধবার ছুটির সুবাদে উৎসবের মহানবমীতে সেই ভিড় আরও বেড়েছে। এদিন সকালে দুর্গাদেবীর মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার পাশাপাশি তর্পণে দুর্গার মহাস্নান ও ষোড়শ উপাচারে পূজা করা হয়। পুষ্পার্ঘ নিবেদন শেষে দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেয় ভক্তরা। কোন কোন মণ্ডপে করা হয় যজ্ঞের আয়োজন। অন্যদিকে এদিন নবমীর পূজা শেষে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতির পর বৃহস্পতিবার দশমীর মধ্য দিয়ে বিসর্জনের ভাবনায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠতে শুরু করে ভক্তদের হৃদয়।

জানা যায়, এবার শেরপুর সদরে ৮১টিসহ জেলায় ১৭২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক তত্বাবধান ও নজরদারিতে দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন থাকায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গোৎসবে যুক্ত হয়েছেন। জেলা শহরের অভিজাত পূজামণ্ডপগুলোতে প্রতি বছরের মতো এবারও সাজসজ্জা ও ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে শহরের নয়ানীবাজারস্থ কালীমন্দিরে মার্চেন্ট ক্লাবের আয়োজনে করা হয়েছে পাখির বাসার আদলে ব্যতিক্রমী মণ্ডপ। এছাড়া গোপাল জিউর মন্দির, মাধবপুর কৃষ্ণ সংঘ ও বটতলা পানু কর্তার বাড়ির মণ্ডপও সাজানো হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। ফলে ওইসব মণ্ডপ দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে বেশি।
জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার বলেন, এবার উৎসবমুখর পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে সারা জেলায় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছে। এজন্য তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপি ও ভাতৃপ্রতীম অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, পূজা নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব মণ্ডপে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বির্সজনের শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

