ads

রবিবার , ২১ আগস্ট ২০২২ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আমন ধানের খেতে খরার হানা, দুশ্চিন্তায় শেরপুরের কৃষকরা

মইনুল হোসেন প্লাবন, স্টাফ রিপোর্টার
আগস্ট ২১, ২০২২ ১:৪৪ অপরাহ্ণ

ভাদ্র মাসের শুরুতেই চৈত্র মাসের মতো খরা। কাঠফাটা তপ্ত রোদে ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির দিকে চেয়ে আছে মানুষসহ প্রাণীকুল। লাগানো জমিতে ধান বাঁচাতে মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক। শেরপুরে খরার তীব্রতায় রোপা আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রখর রোদে সব শুকিয়ে যাচ্ছে। রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছে রোপা আমন ধানের চারাগুলো। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ সেচযন্ত্র চালুর মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের পরামর্শ দিয়েছে।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, আষাঢ় শ্রাবন মাসে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষক সময়মত জমিতে রোপা আমন রোপন করতে পারেননি। দেরি করে রোপন করলেও বৃষ্টির অভাবে রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছে রোপা আমন ধানের চারাগুলো। ফেটে চৌচির হচ্ছে আবাদি জমি।

২১ আগস্ট রবিবার সরেজমিনে শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে রোপা আমন ধানের জমিতে দেখা যায়, রোপা আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে আছে। কোথাও বৃষ্টির ছিটেফোটা নেই। খরায় পুড়ছে শেরপুরের জনপদ। এ সময় রোপনকৃত জমি বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন থাকার কথা থাকলেও আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। এ কারণে রোপনকৃত আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টির জন্য দিন গুনছেন তারা।আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন কখন হবে বৃষ্টি। উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর, যোগিনীবাগ ও শহরের মোবাররকপুর, দমদমা কালিগঞ্জ ও নৌহাটাসহ একাধিক গ্রামে মাঠে এখন রোপা আমন ধানের জমি সবুজে ভরে গেছে। তবে, পানির অভাবে অধিকাংশ ধানক্ষেত ফেটে চৌচির। প্রচণ্ড তাপদাহে ধান গাছ বিবর্ণ হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। সদ্য রোপন করা ধানের চারা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে দেরিতে করে হলেও বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে আমন রোপণ শুরু করেছেন। এতে তাদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

Shamol Bangla Ads

মোহাম্মদপুর ও যোগিনীবাগ গ্রামের কৃষক আকাব্বর হোসেন, ফরিদ উদ্দিন ও কালামসহ অনেকেই জানান, এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে তাদের বাড়তি খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে শেরপুর সদর উপজেলায় ২২ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, চলতি মৌসুমে তুলনামুলক কম বৃষ্টি হয়েছে। যা আমন চাষের উপযোগী নয়। প্রচন্ড তাপদাহে আমন ক্ষেত ফেটে যাওয়ায় এবং তাপদাহ মোকাবেলা করে আমন চাষ করার বিষয়ে কৃষকদের সম্পূরক সেচের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!