‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ দ্রুত চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে সোমবার সকালে শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের এই কর্মসূচির ফলে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পুলিশ শিক্ষার্থীদের অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে ব্যারিকেড বসায়।

সকাল ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। নারী শিক্ষার্থীরাও এই অবস্থান কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে পুলিশ ব্যারিকেড স্থাপন করে।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীদের ‘অধ্যাদেশ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জিসান বলেন, সরকার সাত কলেজকে একত্র করে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করার ঘোষণা দিলেও এখনো আইন জারি করেনি। তিনি অবিলম্বে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানান এবং সতর্ক করেন যে বিলম্ব হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নির্ধারণ করেছে। এর অন্তর্ভুক্ত কলেজগুলো হলো— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

