শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিরা কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে রেহাই পাবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার চার্জশিট দ্রুত রিসিভ করার জন্য একটি প্রসিকিউশন টিম গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। যেই মুহূর্তে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে তখন থেকেই বিচারকাজ শুরু হয়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। বুধবার সচিবালয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। আসামিরা অনেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কারো কিছু বলা ঠিক হবে না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাগিংয়ের মাধ্যমে যদি কোনো অপরাধ করা হয় বা নালিশ করা হলে আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। র্যাগিং কথাটার জন্য হয়তো আইন নেই, তবে র্যাগিংয়ের মাধ্যমে যদি কোনো অপরাধ করা হয়- যদি থাপ্পড়ও দেওয়া হয় সেটাও কিন্তু পেনাল কোডে অপরাধ হিসেবে ধারা ৩২৩ এ শাস্তিযোগ্য।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপনাদের অনুরোধ করবো যারা র্যাগিংয়ের ভিকটিম তাদের উৎসাহ দেবেন, তারা যেন নালিশ করে। নালিশ করলে আমাদের যথেষ্ঠ আইন রয়েছে যেগুলোর আওতায় র্যাগিংয়ের মাধ্যমে করা অপরাধের বিচার করতে পারবো। প্রচলিত আইনেই এ বিচার করা হবে। সব আইন আদালতে এলেই সমাধান হবে তা নয়, ইন হাউজ সিস্টেম তৈরির পাশাপাশি এর উন্নয়নও করতে হবে। সেখানে নালিশ করলে প্রতিকার হবে।
শ্রমিক অধিকার রক্ষায় সহযোগিতা: ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে গৃহীত পদক্ষেপে সন্তুষ্ট ইউরোপিয় ইউনিয়ন। তবে শ্রমিক অধিকারকে আমাদের দেশে কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া য়ায়, সে বিষয়ে তারা আলোচনা করতে এসেছেন।
আনিসুল হক বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন আমাকে জানিয়েছে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। তারা মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়। এ দুই বিষয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।