ads

সোমবার , ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আমতলীতে টেন্ডার ছাড়াই শত শত গাছ কর্তন

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ২২, ২০১৪ ১:২৯ অপরাহ্ণ

AMTALI PIC 44আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি : আমতলীর দফাদার ব্রীজ ও সেকান্দার খালীতে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ মেরামতের নামে শত শত গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন করছে বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বন বিবাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০০-২০০১ সালে সবুজ বেষ্টনীর আওতায় বন বিভাগ ৪৩/১ নং পোল্ডারের দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি বাঁধ পর্যন্ত এবং সেকান্দার খালী গ্রামে সমিতি গঠনের মাধ্যমে ১০ হাজার ফলজ এবং বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়। সরকারী চুক্তি অনুযায়ী এ গাছ ২০ বছর পর কাটার কথা। কিন্তু এবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে। কাজটি পায় ভারতীয়া এনবিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডেও কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামতের নামে দফাদারের ব্রীজ থেকে সুবন্দি বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এবং সেকান্দারখালী গ্রামের ৩ কিলোমিটার বাঁধের শত শত গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলে। কাটা গাছের মধ্যে রয়েছে রেন্ট্রি, ছাবম্বল, বাবলা, নারিকেল সহ অনেক ফলের গাছ। এসকল গাছ ও গাছের ডাল পালা এবং গাছ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ও বনবিভাগের আমতলীর কর্মকর্তা মো. আবাদুল হাই সেলিম গাছ কাটার নির্দেশ দেন বলে উপকারভোগী সদস্য মো. নুরুল ইসলাম জানান । এ ছাড়া ও অনেকে গাছ লুট করে নিয়ে জায় বলে স্থানীয় উপকারভোগি সেকান্দার মুন্সি ও ছত্তার মুছল্লী অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানান গেছে, গাছ কাটার জন্য উপজেলায় একটি ক্রয় বিক্রয় কমিটি রয়েছে। সরকারী কোন গাছ কাটতে হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার নিয়ম থাকলেও বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গাছ কাটায় আমতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান রবিবার সকাল ১০ টায় সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন ভিবাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কাটা বন্দের নির্দেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বন বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে টেন্ডার ছাড়াই সবুজ বেষ্টনীর গাছ কর্তৃন করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আ: মালেক জানান, আমরা গাছ কাটার কোন নির্দেন দেয়নি। যদি কেউ গাছ কেটে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মামলা করতে পারে। বনবিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বন্যনিয়ন্ত্রন বাঁধের কেটে ফেলেছে আমরা সে গাছ গুলো সংরক্ষন করছি। বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল হক জানান, গাছ কাটা বন্ধের জন্য আমতলী ইউএনওর মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!